
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখনো পর্যন্ত কর্মস্থলে যাননি চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। মোবাইল ফোনও বন্ধ। মেয়র কোথায় আছেন বা কর্মস্থলে কবে আসবেন তার কোন তথ্য জানা নেই চসিক কর্মকর্তাদের। আর তাঁর অনুপস্থিতিতে আটকে গেছে চসিকের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ।
এমন তথ্য জানিয়েছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দু‘দিন আগে অর্থাৎ ৩ আগস্ট চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই ‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। আর মেয়রের অনুপস্থিতে চসিকের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আরও বলেন,‘আসলে স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। মোবাইলও বন্ধ আছে। আজ ১১ আগস্টও (রবিবার) স্যার কার্যালয়ে আসেননি। পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে হয়তো আসবেন। আশা করছি এ সপ্তাহের ভেতর স্যার অফিসে আসবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চসিকের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অফিস খোলার প্রথম দিন কয়েকজন ছাড়া আর কেউই আসেনি। তবে পরদিন (বুধবার) থেকে সবাই নিয়মিত অফিস শুরু করেছে। মেয়রের বাসায় হামলা হয়েছে আবার আমাদের অনেকগুলো সাইট থেকে মালামাল (রড,বালি, সিমেন্ট) লুটপাট ভাংচুরও হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় না মেয়র অফিসে আসবেন।’
মেয়র কার্যালয়ে না আসায় অসুবিধা তৈরি হওয়ার কথা জানিয়ে চসিকের প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মেয়র স্যার না আসলে প্রকল্পের এস্টিমেট ফাইলে সাইন হবে না, টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে, কোনো ধরনের প্রকিউরমেন্ট করা যাবে না। তারচেয়ে বড় জরুরি কাজের ক্ষেত্রে মেয়রের এপ্রুভাল ছাড়া কোনো কাজ হয় না।’