
স্বাধীনতাকামী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনীসহ ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুদ্দিন কাদিরের আদালতে হাজির করে আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে করা দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ছয়জনের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী (৪৮) মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মনিরুজ্জামান (২৪), আসমত উল্লাহ (৩২), মো. হাসান (১৫)। বাকি চারজন নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। এরা হলেন, মোছাম্মৎ আসমাউল হোসনা, মোসাম্মত শাহিনা ও দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। আসামিদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জে এবং সলিমুল্লাহ, শাহিনা ও এক কিশোরী উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি খোরশেদ আলম মোল্লা জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এবং দেশে নাশকতা চালানোর ষড়যন্ত্র করছিলো। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে অপকর্ম করার পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন ও ফরেন অ্যাক্ট আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, আরসার সদস্যরা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে বৈঠক করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা এবং ময়মনসিংহের গার্ডেন সিটিতে অভিযান চালিয়ে এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, একটি স্টিলের চেইন এবং চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়।
র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনী (৪৮) রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার নির্দেশদাতা এবং তুমব্রু সীমান্তে ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।