মঙ্গলবার- ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

ইউরোপের বিষাক্ত জাহাজের ভাগাড় চট্টগ্রাম উপকুল

print news

বছর দুয়েক আগে চট্টগ্রামের আরেফিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি শিপইয়ার্ডে ম্যাক্স নামের ২৪ বছরের পুরোনো এক জাহাজ ভাঙার কাজ করছিলেন বিপ্লব। কাজের প্রয়োজনে একদিন ইঞ্জিন রুমে পাইপ দিয়ে আগুন ধরানোর সময় তা হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। সাথে সাথে পেছনের দেয়ালে ছিটকে পড়েন বিপ্লব। তার মুখ মারাত্নকভাবে পুড়ে যায় এবং পিঠ ভেঙে যায়। এই আঘাতের চিকিৎসার জন্য বিপ্লবকে নিজের সব জমিজমা বিক্রি করে দিতে হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে এখন একটি চায়ের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বিপ্লব।

শুধু বিপ্লব নয়, ২০১৯ সালের ১৯ জুন সীতাকুন্ডের একটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কাঁধে একটি লোহার বান্ডেল বহন করে নেওয়ার সময় হঠাৎ পিছলে পড়েন ২৮ বছর বয়সী রমজান শেখ। এতে লোহার বান্ডিলটি পড়ে তার ডান পা ভেঙে যায়। এরপর হাসপাতালে তার পা কেটে ফেলা হয়। কিন্তু ইয়ার্ডমালিক তার চিকিৎসার খরচ দেননি। ফলে সব সঞ্চয় খরচ করার পরও বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিতে বাধ্য হন তিনি। তার এখন ঘরও নেই, রেলস্টেশনে ঘুমান। ক্ষুধা মেটানোর জন্য করেন ভিক্ষা।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর মধ্যরাতে অবৈধভাবে চলা রাতের শিফট চলাকালে ২০ বছর বয়সী রাকিব একটি ভারী লোহার টুকরা কাটার সময় তার বাম পা কেটে যায় এবং একটি লোহার রড ঢুকে তার পেটে ছিদ্র হয়ে যায়। অন্য শ্রমিকরা তাকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করার আগেই তিনি অন্তত ৪৫ মিনিট মাটিতে নিথর পড়ে থাকেন। যেহেতু তিনি মাঝরাতে কাজ করছিলেন, সেখানে কোনও গাড়ি বা রিকশাও ছিল না। পরে তার সহকর্মীরা তাকে কাঁধে করে কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান।

রাকিব বলেন, ইয়ার্ডমালিক শুধু চিকিৎসার অল্প খরচ দিয়েছিলেন। এ কারণে ১৭ দিন পর তাকে হাসপাতাল ছেড়ে আসতে হয়। তার পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় আমার জীবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এভাবে একের পর জীবন ধ্বংস হয়ে গেলেও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপকুলে অবস্থিত শিইয়ার্ডগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ জাহাজ কিনে এনে সেগুলো ভাঙার কাজ করছে। পরে তারা ধাতব ও অন্যান্য উপকরণ বিক্রি করছে। যা ব্যবসা হিসেবে যথেষ্ট লাভজনক মনে করছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এবং বেলজিয়ামভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান শিপব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম যৌথভাবে প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। উপকুলের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কর্মরত ৪৫ জন শ্রমিক ও তাদের আত্নীয়স্বজন, ১০ জন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার ছাড়াও জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের পরিবেশ ও শ্রম আইন, পাবলিক শিপিং ডাটাবেস, কো¤পানির আর্থিক প্রতিবেদন ও ওয়েবসাইট, সমুদ্রপথে আমদানির রেকর্ড এবং ফাঁস হওয়া আমদানি সার্টিফিকেট বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শিপব্রেকিং ইয়ার্ড, শিপিং কো¤পানি, ফ্ল্যাগ রেজিস্ট্রি এবং ক্রেতাদের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন এবং চারটি বাংলাদেশি সরকারি সংস্থাসহ মোট ২১টি সংস্থার কাছ থেকে অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়াও জানতে চেয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সমুদ্র উপকুল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে পরিণত হয়েছে। এই উপকুল ইউরোপ থেকে আসা বিপজ্জনক জাহাজগুলোর ভাগাড় হয়ে ওঠেছে। এই জাহাজগুলোই বাংলাদেশের ই¯পাত জোগানোর অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই জাহাজ-ভাঙা শিল্পের বার্ষিক অবদান আনুমানিক ২ বিলিয়ন ডলার।

৯০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবকিছু জেনেশুনেই চট্টগ্রামের বিপজ্জনক ও দূষণকারী ইয়ার্ডে পরিত্যক্ত সব জাহাজ স্ক্র্যাপের জন্য পাঠাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন শিপিং কো¤পানি। মানুষের জীবন ও পরিবেশের খরচের বিনিময়ে শ্রেফ মুনাফার জন্য তারা আন্তর্জাতিক বিধিবিধানের ফাঁকফোকরগুলো ব্যবহার করে যাচ্ছে। বিপজ্জনক এই দূষিত জাহাজগুলো কাটতে গিয়ে অনেক শ্রমিকই বরণ করে নিচ্ছেন মৃত্যুকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো প্রায়ই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে শর্টকাট পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। সৈকত ও আশেপাশের পরিবেশে সরাসরি বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে দেয় এবং আহত হলে শ্রমিকদের মজুরি, বিশ্রাম বা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত করে।

প্রতিবেদনে জাহাজ মালিকদের এমন এক সংঘবদ্ধ নেটওয়ার্কের কথা প্রকাশ করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের এমন সব স্থাপনায় বিষাক্ত জাহাজ পাঠায়, যেখানে পর্যাপ্ত পরিবেশগত বা শ্রম সুরক্ষা নেই।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেন, ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের সৈকতে পরিত্যক্ত জাহাজগুলো ফেলার মাধ্যমে মানুষের জীবন ও পরিবেশের বিনিময়ে মুনাফা করছে। আন্তর্জাতিক আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করা থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিরত থাকতে হবে। নিজেদের পরিত্যক্ত জিনিস নিরাপদে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাদের নিতে হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন অনুসারে এর পতাকাবাহী জাহাজগুলো তাদের অনুমোদিত শিপ ইয়ার্ড ছাড়া অন্য কোথাও ভাঙার সুযোগ নেই। কিন্তু এই ধরনের অনুমোদনপ্রাপ্ত কোনো শিপইয়ার্ড বাংলাদেশে নেই। এই নিয়মকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য পুরোপুরিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা দেওয়ার আগে ম্যাক্সকে অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয় ২০২১ সালের জুনে। সেই মাসেরই শেষের দিকে ভাঙার জাহাজটি বাংলাদেশে আমদানির অনুমতি পায়। এটি ২০২১ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এক মাসের বেশি সময় পরে এতে বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে বিপ্লব আহত হন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ২০২০ সালে করোনার পর জাহাজ ভাঙার জন্য বাংলাদেশই আসলে বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় গন্তব্য। গত তিন বছরে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ৫২০টিরও বেশি জাহাজ ভাঙার কাজে জড়িত ছিলেন, যা বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের এই প্রতিবেদন তৈরিতে ৪৫ জন জাহাজ-ভাঙা শ্রমিক, শ্রমিকের আত্নীয়-স্বজন, ১০ জন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলেছে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, জাহাজ-ভাঙা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ। শ্রমিকরা ধারাবাহিকভাবে বলেছে যে, তাদের নিরাপদে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ বা সরঞ্জাম সরবরাহের দরকার তা কখনোই দেওয়া হয় না। গলিত ই¯পাত কাটার সময় বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে শ্রমিকরা তাদের শার্ট মুখের চারপাশে মুড়িয়ে নেয় এবং খালি পায়ে ই¯পাতের টুকরো বহন করার সময় তাদের হাত পোড়ানো এড়াতে গ্লোভস হিসাবে তাদের মোজা ব্যবহার করতে হয়। স্বাস্থ্যগত এসব ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশের অন্যান্য মানুষের চেয়ে এই শিল্পে কাজ করা মানুষের গড় আয়ু ২০ বছর কম বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

জাহাজ-ভাঙা শিল্পের শ্রমিকদের উপর স্থানীয়ভাবে করা ২০১৯ সালের একটি জরিপকে উদ্ধৃত করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এই শিল্পের কমপক্ষে ১৩ শতাংশ শ্রমিক শিশু। রাতের শিফটে এই শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ শতাংশ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই পর্যবেক্ষণের সাথে পুরোপুরি একমত পোষণ করেছেন শ্রমিক অধিকার কর্মী কল্পনা আক্তার।

তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষণায় আসলে জাহাজ-ভাঙা শিল্পের সত্যিকারের অবস্থাটাই উঠে এসেছে। এখানে শিশুর কথা যেরকম আছে, শ্রমিকদের অনিরাপদ একটি কর্ম পরিবেশের কথাও বলা হয়েছে। এই জাহাজগুলো টক্সিক ম্যাটেরিয়াল ক্লিন করে আমাদের দেশে ঢোকার কথা, কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। শ্রমিকরা এতটা অনিরাপদ এবং আতঙ্কিত থাকে যে, যে-কোনো সময়ে যে-কোনো ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এখানে সেফটি ইকুইপমেন্ট দেওয়া হয় না। শ্রমিকরা তাদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে গেলেও অনেক আতঙ্কিত থাকে, কারণ, যারা এই শিল্পের মালিক, তারা সব সময় চেষ্টা করে এই শ্রমিকদের ভয়েসকে দাবিয়ে রাখার, এই শ্রমিকরা যাতে তাদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে না পারে, সে জন্য তাদের নিপীড়নেরও শিকার হতে হয়।

চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা যারা নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় নাম প্রকাশ করতে রাজী নন, তারা জানান, ২০১৯ সাল থেকে গত পাঁচ বছরে এই শিল্পে কাজ করা ৬২ জন শ্রমিক মারা গেছেন, যার মধ্যে সর্বাধিক ২২ জন মারা গেছেন ২০১৯ সালে। চলতি বছর প্রথম নয় মাসে মারা গেছেন পাঁচজন শ্রমিক।

জাহাজ-ভাঙা শিল্পের এই পরিবেশ বিপর্যয় এবং প্রাণহানির জন্য পরিবেশ অধিকারকর্মী ও আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান উন্নত বিশ্বের স্বার্থপর দৃষ্টিভঙ্গিকেই অনেকটা দায়ী করেছেন। জাহাজ-ভাঙা শিল্প যেটাকে আমরা বাংলাদেশে শিল্প বলছি এটা কোনোভাবেই শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। এটা হচ্ছে উপকূলীয় শ্রমিকদের জীবন ধ্বংসের একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। এই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে বাংলাদেশেরই যে মুষ্টিমেয় কিছু জাহাজ-ভাঙা মালিক সুবিধা ভোগ করেন তা না, এটা উন্নত বিশ্বকেও অনেক সুবিধা দেয়। উন্নত বিশ্ব যে জাহাজগুলো বাংলাদেশে পাঠায়, সে জাহাজগুলো বাংলাদেশে না পাঠিয়ে তাদের দেশে ভাঙতো, যেটা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের করার কথা, তাহলে তাদের লাভ খুব কম হতো। তারা এই জাহাজগুলো বেশ মূল্যের বিনিময়ে বাংলাদেশি মালিকদের কাছে বিক্রি করেন, বাংলাদেশি মালিকরা শিল্পের জন্য যে বিনিয়োগ লাগে, অবকাঠামো উন্নয়নে সেই বিনিয়োগ ছাড়াই উম্মুক্ত বীচে আকাশের নীচে জাহাজ-ভাঙা কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেটা উন্নত বিশ্বে কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতো না। আমাদের জীবনের মূল্য তারা খুব কম হিসেবেই দেখে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের এসব অনিয়মের অভিযোগকে অবশ্য সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশী শিপিং কোম্পানির মালিকরা। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের বলেছেন, এটা কোনো অভিযোগ না। এতে অনিয়ম কিছু নাই, কোনো শিশু শ্রমিক নাই। বাংলাদেশে শিপ ব্রেকিং এখন অনেক উন্নত হয়ে গেছে। ইউরোপিয়ান কোনো শিপ আমাদের এখানে আসেনা, আসলেও খুব রেয়ার।

সরকারি সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরও দাবি করেছে তারা নিয়মিত এসব শিল্পকে পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিষ্ঠানটির চট্টর্গ্রাম অঞ্চল প্রধান সাকিব আল মুবাররত এ প্রসঙ্গে বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর প্রতি মাসে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ (অগ্রিম পরিদর্শন পরিকল্পনা) অনুযায়ী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এস ও পি মোতাবেক নির্দিষ্ট চেকলিস্ট অনুযায়ী পরিদর্শন করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ তদন্ত ও মীমাংসা, দুর্ঘটনার তদন্ত, কাজের সময়সূচী অনুমোদন, নতুন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, লে-আউট অনুমোদন ও সংশোধনে, জরিপ এবং অন্যান্য কারণে বিশেষ পরিদর্শন করা হয়।

এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইন,২০০৬ এর প্রযোজ্য ধারা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও সেফটি সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, পেশাগত ব্যাধির ঝুঁকি স¤পর্কে অবহিতকরণ, সেফটি কমিটি গঠন ও কার্যক্রম মনিটরিং, স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্ষালন ও অন্যান্য সুবিধাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়।

সাকিব আল মুবাররত আরও বলেন, সরকার সম্প্রতি হংকং কনভেনশ অনুমোদন করায় আগামী দু‘বছরের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই হংকং কনভেনশন কমপ্লাই করতে হবে আগামী দুই বছরের মধ্যে পুরো ইন্ড্রাস্ট্রিতে। এর মানে হচ্ছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে সবগুলো শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গ্রিন ইয়ার্ড হতে হবে।

আরও পড়ুন

No more posts to show