“সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা থেকে প্রায় ১৬ মাইল উত্তর-পূর্বে কিরিয়াত গ্যাটে বিদ্যমান চিপমেকিং কারখানাটিকে গেল কয়েক বছর ধরেই প্রসারণের পরিকল্পনা করছিল ইন্টেল।”
ইসরায়েলে তৈরি হচ্ছে কম্পিউটার প্রসেসর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের সবচেয়ে বড় কারখানা। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে কারখানাটি করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে ইন্টেল করপোরেশন ও ইসরায়েল সরকার।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিনিয়োগকে তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ বলে আখ্যায়িত করেছেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা থেকে প্রায় ১৬ মাইল উত্তর-পূর্বে কিরিয়াত গ্যাটে বিদ্যমান চিপমেকিং কারখানাটিকে গেল কয়েক বছর ধরেই প্রসারণের পরিকল্পনা করছিল ইন্টেল।
ইতোমধ্যে সম্প্রসারণের জন্য ভবনগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশের নির্মাণকাজও সম্পন্ন হয়েছিল। তবে ৭ অক্টোবরের হামলা এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে সে পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে।
অবশেষে সে পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করছে ইসরায়েল সরকার ও ইন্টেল। ইতোমধ্যে দেশটিতে ১১ হাজার ৭০০ কর্মী নিয়োগ দিয়েছে আমেরিকান এই টেক জায়ান্ট। গত ৫০ বছরে দেশটিতে ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।
“গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যাকে ধিক্কার জানিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি ও ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ইসলামি সমমনা রাষ্ট্রগুলো। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছিল নেটিজেনরা। ইন্টেলের নতুন এই পরিকল্পনাকেও ভালো চোখে দেখছেন না তারা। ”
আগামী ১০ বছরে দেশটি থেকে ১৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইন্টেল। দেশটিতে কিরিয়াত গ্যাটসহ সবচেয়ে উন্নত উৎপাদন সুবিধাসম্পন্ন ইন্টেলের চারটি উন্নয়ন ও উৎপাদনকেন্দ্র রয়েছে।
আগামী ২০২৮ সালে নতুন কারখানা চালু এবং ২০৩৫ সালে পরিপূর্ণ উৎপাদনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ইন্টেলের।
ইন্টেল জানিয়েছে, কিরিয়াত গ্যাট কারখানার সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর, চিপসেট এবং প্রসেসর উৎপাদনের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচও গেল ২৬ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা এবং গণহত্যাকে ধিক্কার জানিয়ে চলতি বছরের নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি ও ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী ও ইসলামি সমমনা রাষ্ট্রগুলো। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছিল নেটিজেনরা। ইন্টেলের নতুন এই পরিকল্পনাকেও ভালো চোখে দেখছেন না তারা।
ঈশান/খম/সুপ