
“রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আগে থেকেই লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকট রয়েছে। ফলে বাড়তি চাপ পড়ছে সচল ইঞ্জিনগুলোর ওপর। সচল ইঞ্জিনগুলো সাধারণত একবার চলাচলের পর ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা বিশ্রামে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু রুটে ইঞ্জিন বিশ্রাম ছাড়াই ব্যবহার হচ্ছে। যেকোনো ইঞ্জিন রানিং করে এসেই পুনরায় চলাচল করা বিপজ্জনক”
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৩৭টি ইঞ্জিন বিকল। ফলে কাটছে না লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকট। এ কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সহসা চালু হচ্ছে না কমিউটার ট্রেন। যদিও বিকল ইঞ্জিনগুলোর মেরামতের কাজ চলছে।
রেলওয়ের পাহাড়তলী ডিজেল লোকোমোটিভ কারখানার তত্ত্বাবধায়ক এহতেশাম মোহাম্মদ শফিক জানান, চট্টগ্রাম বিভাগের ট্রেন চলাচলের জন্য ৯৭টি ইঞ্জিন রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বর্তমানে সচল আছে মাত্র ৬০টি। অপর ৩৭টি ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে।
ইঞ্জিন বিকলের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে আগে থেকেই লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকট রয়েছে। ফলে বাড়তি চাপ পড়ছে সচল ইঞ্জিনগুলোর ওপর। সচল ইঞ্জিনগুলো সাধারণত একবার চলাচলের পর ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা বিশ্রামে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশ কিছু রুটে ইঞ্জিন বিশ্রাম ছাড়াই ব্যবহার হচ্ছে। যেকোনো ইঞ্জিন রানিং করে এসেই পুনরায় চলাচল করা বিপজ্জনক।
এদিকে কক্সবাজার রুটে দুটো আন্তঃনগর ট্রেনের পর এবার ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কমিউটার চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে রেলওয়ে। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটে কারণে ঠিক কবে থেকে এই ট্রেন চালু হবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংস্থাপন ও অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট জাকির হোসেন বলেন, ‘নতুন রুটে ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত আপাতত এই মুহূর্তে নেই। যদি ট্রেন চালু করতে হয় তাহলে রেলের আয়বর্ধক কন্টেইনারবাহী ট্রেন বন্ধ করতে হবে। সেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাগিয়ে রুটে নতুন ট্রেন চালু করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ ইমরান বলেন, রেলের আয়ের সিংহভাগ আসে এই তেল ও ভোগ্যপণ্যবাহী কন্টেইনার ট্রেন থেকে। এই ধরনের একটি ট্রেন থেকে দৈনিক আয় হয় ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু কমিউটার ট্রেন তেমন আয়বর্ধক নয়। ফলে কন্টেইনার ট্রেন বন্ধ রেখে কমিউটার ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের কর্মব্যবস্থাপক (পূর্ব) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কোনো কমিউটার বা আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা সম্ভব নয়।
ঈশান/খম/সুম