সোমবার- ২০ অক্টোবর, ২০২৫

কর্ণফুলীর তিন সড়কে এলজিইডি প্রকৌশলী হাসান আলীর কারিশমা!

কর্ণফুলীর তিন সড়কে এলজিইডি প্রকৌশলী হাসান আলীর কারিশমা!

ট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে বরাদ্দ পাওয়া ২৫ লাখ টাকার তিনটি সড়ক প্রকল্পের কাজ নিয়ে নানা বিতর্ক চলছে। অভিযোগ উঠেছে, টেন্ডার ছাড়াই কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

আর এতে চট্টগ্রাম জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত এবং এলজিইডির কর্ণফুলী উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা রকম গোপন কারিশমার অভিযোগ উঠেছে।

তিনটি সড়ক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কগুলোর কাজ শুরু হয়েছে মাত্র ২০-২৫ আগে। অথচ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে আরো ৫ মাস আগে। কাজগুলো করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার, যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ।

আরও পড়ুন :  শাহজালালের কার্গো ভিলেজে আগুন, ৮ বিমান চট্টগ্রামে

এলজিইডি অফিসের নথি অনুযায়ী, কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে গত ৩০ জুন। অথচ প্রকল্পের সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করা হয়েছে ২৪ জুনেই! স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল উত্তোলন কীভাবে সম্ভব হলো। আর কিভাবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর একটি বরাদ্দ গোপনে আবার বাস্তবায়ন করে বিলও নিয়ে গেছেন। এতো লুকোচুরির রহস্য কী!

এছাড়া সাবেক ভূমিমন্ত্রীর শেষ এডিপি বরাদ্দের পুরো ২৫ লাখ টাকাই ব্যয় করা হয়েছে আনোয়ারা উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নে। এতে কর্ণফুলীর বাকি চার ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। তিনটি প্রকল্পের নাম: মোহাম্মদ হোসেন সড়ক (৫ লাখ), আজিজুর রহমান সড়ক (১০ লাখ), এবং হাজী তমিজ গোপাল সড়ক (১০ লাখ)। এই সড়কগুলো চরলক্ষ্যার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোলায়মান তালুকদারের বাড়ির আশেপাশে।

আরও পড়ুন :  মাশুল বাড়ায় বন্ধ প্রাইভেট ট্রেইলার, পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা

স্থানীয়দের প্রশ্ন, এক ইউনিয়নে একাধিক প্রকল্প কেন দেওয়া হলো, এবং কেন এসব প্রকল্প নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হলো না। বিতর্কিত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে কর্ণফুলীর ইউএনও ও প্রকৌশলীদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের মতে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে এর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও দুদক অনুসন্ধান চালালে আরো চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে স্বয়ং এলজিইডি অফিসের কর্মচারীরা তথ্য দিয়েছেন।

আরও পড়ুন :  বাড়ি-গাড়ি, জাহাজ-লরি সবই আছে যমুনা অয়েলের গেজার জয়নালের!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী বলেন, এসব প্রকল্প নিয়ে আমি তেমন অবগত নই। এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনরকম লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈশান/মখ/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page