
নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র থাকায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল। সেখানেও প্রথম অংশে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। তবে দ্বিতীয় অংশে ১১২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ। তার ওই গোলেই কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ষোলতম শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা।
আর তৃতীয়বার কোপা আমেরকার ফাইনালে পা রেখেও ট্রফির সংখ্যা একটাই থাকলো কলম্বিয়ার। রবিবার (১৫ জুলাই) মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে আনহেল ডি মারিয়ার বিদায়ী ম্যাচে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপার শিরোপা জিতেছে লিওনেল মেসিরা। পঞ্চমবারের মতো পরপর দুইবার লাতিন আমেরিকার এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সবার ওপরে আর্জেন্টিনা। শিরোপা জিতে ডি মারিয়ার বিদায় রাঙাল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
সবশেষ কোপা আমেরিকায়ও ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোপা তথা আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা জেতে দলটি। এরপর ফিনালিসিমা জেতার পর বিশ্বকাপও ঘরে তোলে আলবেসেলেস্তেরা ৩৬ বছর পর। এবারের কোপা আমেরিকার ফাইনালও আর্জেন্টিনা জিতেছে ২০২১ কোপার ফাইনালের মতো ১-০ ব্যবধানে।
এবারের ফাইনালে আর্জেন্টিনা জিতলেও বল দখলের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়াই। ৬৬ শতাংশ বল দখলে রেখে আর্জেন্টিনার চেয়ে ৮টি শট বেশিও নেয় তারা। ১৯ শটের মধ্যে আর্জেন্টিনার চেয়ে দুটি কম ৪টি লক্ষ্যে রাখে কলম্বিয়া। পাসও বেশি খেলেছে তারা এবং নিখুঁতে পাসেও তারাই এগিয়ে। আর্জেন্টিনার ৮২ শতাংশের বিপরীতে তাদের ৮৫ শতাংশ।
পুরোনো চোটে মেসি মাঠ ছাড়েন ৬৬ মিনিটে। ডাগআউটে গিয়ে কষ্ট চেপে ধরে রাখতে না পেরে বেঞ্চেই কেঁদে দেন শিশুর মতো। ক্যামেরার সকল লেন্স তখন মেসির দিকেই তাক করা ছিল। তার পরিবর্তে নিকো গঞ্জালেস মাঠে নেমে কয়েক মিনিটের মধ্যে গোল করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। কনমেবলের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের পর ফাইনালে যোগ হয় এই অতিরিক্ত সময়। সেখানে ১১২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে জয়সূচক গোলটি করে লাউতারো মার্তিনেজ। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে রেকর্ড ষোলতম কোপা আমেরিকার শিরোপা।
আরেকবার টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। গোল্ডেন বুট জিতেছেন আর্জেন্টিনার লাউতারো মার্তিনেজ ৫টি গোল করে। ছয়টি গোল ও একটি অ্যাসিস্টে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন জেমস রদ্রিগেজ।