
ক্যান্সারে আক্রান্ত আলাউদ্দিন (৩৫)। দীর্ঘ তিন বছর ধরে মরণদশা তার। আর একই সাথে স্বামীর সেবায় কাহিল প্রায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
গত ২৫ জানুয়ারি শনিবার স্বামী আলাউদ্দিনকে নিয়ে চমেক হাসপাতালের ক্যান্সার ওয়ার্ডে আসেন জেসমিন আক্তার। ওয়ার্ডের এক জায়গায় বসে স্বামীর মেরুদন্ড মেসেজ করছেন জেসমিন।
জেসমিন আক্তার বলেন, স্বামী আলাউদ্দিন গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সুখেই যাচ্ছিল তাদের দিন। কিন্ত তিন বছর আগে হঠাৎ তার পিঠে ব্যাথা শুরু হয়। প্রথমে গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীতে এক চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হই। তিনি লিখে দেওয়া ওষুধ খেলেও ব্যাথা কমেনি।
পরে ওই চিকিৎসকের পরামর্শে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের কাছে যাই। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেওয়ার পর বলেন টিউমারে ক্যান্সার। যা শুনে অন্ধকার হয়ে আসছিল পৃথিবী। পরে স্বামীকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি ছিলাম প্রায় তিন মাস।
এ অবস্থায় স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পায়খানা-প্রস্রাব করানো, খাওয়া-দাওয়া করা সব করতে হয় আমাকে। এছাড়া ওষুধ খাওয়ানোসহ নানা সেবা করতে হয়। এসব করতে গিয়ে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। যা এখনো পর্যন্ত চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসায় একটু ভাল লাগলেও বেচে থাকার মতো অবস্থায় নেই স্বামী আলাউদ্দিনের। স্বামীর সাথে আমিও যেন মৃত্যুর দিকে হেঁটে চলেছি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি-এমন রোগ যেন শত্রুরেরও না হয়।