বৃহস্পতিবার- ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে আওয়ামী মার্কা রেল কর্মকর্তার কান্ড, যুবদল নেতা লাঞ্ছিত

চট্টগ্রামে আওয়ামী মার্কা রেল কর্মকর্তার কান্ড, সাবেক যুবদল নেতা লাঞ্ছিত
print news

ট্টগ্রামের সিআরবিতে কর্মরত আওয়ামী মার্কা এক রেল কর্মকর্তার নির্লিপ্ত কর্মকান্ডে হতবাক রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিএনপি বা অন্য কোন দলীয় নেতাকর্মী হিসেবে পরিচিত কেউ যেন প্রবেশ করতে না পারে, তা কঠোরভাবে বারণ করা হয়েছে। 

তিনি হলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (সিসিএম) মো. মাহবুবুর রহমান। আর বিষয়টি জানা না থাকায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর ১৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক নেতা মুহাম্মদ আলী বাদল ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে চরমভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ঠিকাদাররা। ঠিকাদারদের ভাষ্য, প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুর রহমান একজন আপাদমস্তক আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোক। ফলে বিগত সময়ে ক্ষমতায় থাকাকাল থেকে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদারদের নানা অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছেন। নানা কুটকৌশলে তাদের টেন্ডারকাজ দিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন আদায় করে আসছেন।  এছাড়া অন্য কোন ঠিকাদার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কাজ পেত না।

কিন্তু সরকার পতনের পর গা ঢাকা দেয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা। কয়েকদিন গা ঢাকা দেন সিসিএম মো. মাহবুবুর রহমানও। এরপর অফিসে আসলেও তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদার ছাড়া অন্য সব দলের ঠিকাদারদের তার কার্যালয়ে প্রবেশে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। যা ঠিকাদরদের জানিয়েছেন অফিস সহায়ক আরেফিন। তবে বিষয়টি জানতেন না যুবদলের সাবেক নেতা মুহাম্মদ আলী বাদল। তিনি গত সোমবার মো. মাহবুবুর রহমানের দপ্তরে সাক্ষাতের জন্য গেলে বাধার সম্মুখীন হন। অনেকক্ষণ বসে থাকার পর সিসিএম দপ্তরে প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রথমে আরেফিন, পরে মো. মাহবুবুর রহমানের হাতে লাঞ্ছিত হন।

তবে বিষয়টি জানতে চাইলে সিসিএম দপ্তরের অফিস সহায়ক আরেফিন প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপকের পক্ষ নিয়ে ঘটনাটিকে উল্টো করে বলেন। আরেফিন জানান, গত সোমবার বিকালে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সাবেক নেতা বাদল রেলের ঠিকাদারি কাজ নেওয়ার জন্য দপ্তরে ঢুকতে চান। এ সময় তাদের মিটিং আছে বলে ভেতরে যেতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে ভেতরে যান বাদল। ভেতরে গিয়ে তিনি সিসিএম মো. মাহবুবুর রহমানকে হুমকি দেন। ওই দপ্তরের কাজ কোনো দরপত্র ছাড়াই দেওয়া জন্য শাসাতে শুরু করেন। বাদলকে তারা কোনরকম লাঞ্ছিত করেনি বলে জানান। আরেফিন আরও জানান, বাদল খুলশী থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

যোগাযোগ করা হলে প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যুবদলের সাবেক নেতা মুহাম্মদ আলী বাদলকে মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়