চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে টোল প্রদান করে গাড়ি চলাচল করতে হবে। এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল আদায় করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার এবং নামার টোল পতেঙ্গাতেই পরিশোধ করতে হবে।
বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়েতে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলাচল করছে। এ জন্য কোনো টোল দিতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিডিএর চেয়ারম্যান মো. নুরুল করিম। তিনি বলেন, গতকাল রোববার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বৈঠকে টোল আদায়ের দিন ঠিক করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত হারেই টোল আদায় করা হবে। যানবাহনের ধরণ এবং এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার পয়েন্টের উপর ভিত্তি কওে টোলের হার নির্ধারণ করা হয়েছে।
টোলের হার অনুযায়ী, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে টোল দিতে হবে ৩০ টাকা। কার জাতীয় গাড়িকে দিতে হবে ৮০ টাকা। জিপ ও মাইক্রোবাসের জন্য টোলের হার ১০০ টাকা। পিকআপ থেকে নেওয়া হবে ১৫০ টাকা। মিনি বাস ও ট্রাক (চার চাকা) থেকে ২০০ টাকা করে, বাস থেকে ২৮০ টাকা নেওয়া হবে। ট্রাকের (৬ চাকা) জন্য ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানের জন্য ৪৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্ধারণ করা টোলের হার পরিবর্তন করে গত ৩ নভেম্বর নতুন প্রস্তাব পাঠায় সিডিএ। ২৭ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় টোলের হার চূড়ান্ত করে। পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি স¤পন্ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে জিইসি মোড় থেকে উঠে পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে নামার সুযোগ রয়েছে। আবার পতেঙ্গা থেকে উঠে নগরের টাইগারপাস, লালখান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নামার জন্য র্যা¤প রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, নিমতলায়, কেইপিজেড, ফকিরহাট, সিইপিজেডে ওঠানামার নয়টি র্যা¤প থাকবে।
তিনি বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচলের সুযোগ রেখে টোলের হার চূড়ান্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল এবং কন্টেনার ট্রেইলর চলাচল করতে পারবে না। গত কয়েক মাস পরীক্ষামূলকভাবে চলাচলের সময় মোটরসাইকেল চলাচল করলেও ১৯ ডিসেম্বর থেকে তা কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরে যানবাহন চলাচলে গতি আনতে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার-পতেঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বেশ আগে।