মঙ্গলবার- ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চামড়া সংগ্রহ

চট্টগ্রামে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি চামড়া সংগ্রহ
print news

ট্টগ্রাম মহানগর ও ১৬ উপজেলা থেকে এবার সাড়ে তিন লাখেরও বেশি কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। এসব কাঁচা চামড়া নগরীর আতুঁরার ডিপো এলাকার বিভিন্ন আড়তে লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করার কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে এসব তথ্য জানান বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী- আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার চট্টগ্রামে তিন লাখ ৫০ হাজার পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে চামড়া সংগ্রহ হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৫০ পিস। এরমধ্যে গরুর চামড়া দুই লাখ ৯৭ হাজার ১৫০ পিস। মহিষের চামড়া ১২ হাজার ২০০ পিস। ছাগলের চামড়া ৫১ হাজার ৬০০ পিস। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার ৯৫০ পিস বেশি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হয়নি।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

মুসলিম উদ্দিন দাবি করেন, এবার ছোট আকারের গরুর চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা, মাঝারি আকারের গরুর চামড়া ৫০০-৬০০ টাকা এবং বড় আকারের গরুর চামড়া ৭০০-৯০০ টাকা দরে কিনেছেন আড়তদাররা।

তবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া কিনেননি আড়তদাররা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সিন্ডিকেট করে পানির দরে চামড়া কিনেছেন আড়তদাররা।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

আবার অন্যদিকে অধিকাংশ কোরবানি দাতা বলছেন, তারা এবার চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ ও বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার আলেমরা এসে বিনামুল্যে চামড়া নিয়ে গেছেন।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী-আড়তদার সমিতির দায়িত্বশীলদের ভাষ্য, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ও বাসা বাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। গাউছিয়া কমিটি ও বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসার আলেমরা বিনামুল্যে চামড়া সংগ্রহের বিষয়টিও শুনেছি।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

তবে সেই চামড়া তিন-চার হাত ঘুরে আতুরার ডিপো এলাকার আড়তে আসে। আড়তে তারা চড়া দামে চামড়া বিক্রি করেছে। সে হিসেবে ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া না কিনলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আড়তদাররা।

আড়তদাররা জানান, এবার উপজেলা পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের যে উদ্যোগ সেটা খুবই চমৎকার হয়েছে। এর ফলে চামড়ার মান ভালো থাকবে। তিনি বলেন, এখন ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলেই হয়। তাহলে লোকসান গুনতে হবে না।

ঈশান/খম/সুপ

আরও পড়ুন

No more posts to show
error: Content is protected !!