বৃহস্পতিবার- ২৭ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে নতুন বছরে চলবে ‘প্রবাল-শৈবাল’

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে নতুন বছরে চলবে ‘প্রবাল-শৈবাল’
print news

তুন বছরের শুরু থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রবাল এক্সপ্রেস ও শৈবাল এক্সপ্রেস নামে আরও এক জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করবে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের দপ্তর থেকে রেল ভবনে পাঠানো চিঠিতে ট্রেনগুলোর নতুন এই নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই সাথে বর্তমানে চলমান এক জোড়া বিশেষ ট্রেনকেও স্থায়ী করা হচ্ছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমানে চলমান কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি নতুন বছরে স্থায়ীভাবে দিনে চারবার (দুইবার যাবে এবং দুইবার আসবে) চলাচল করবে। একই সঙ্গে নতুন আরেক জোড়া ট্রেনও যাত্রা শুরু করবে।

এসিওপিএস কামাল আখতার হোসেন বলেন, স্পেশাল ট্রেনটি আন্তঃনগরের মতোই চলবে। জানুয়ারি থেকে এতে খাবারের গাড়ি যুক্ত হবে। যদিও এটি নন-এসি, তবে প্রথম শ্রেণির কেবিন, প্রথম শ্রেণির চেয়ার এবং শোভন চেয়ার থাকবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যেতে সময় লাগবে মাত্র চার ঘণ্টা। যাত্রাপথে বড় বড় স্টেশনে ট্রেন থামবে।

বাণিজ্যিক ও পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে জানুয়ারি থেকে যে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে তার মধ্যে প্রথম ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে সকাল সাড়ে ৬টায়। কক্সবাজারে পৌঁছাবে সকাল ১০টায়। ওই ট্রেনটি সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে। এটি চট্টগ্রাম এসে পৌঁছাবে বেলা সোয়া ২টায়।

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে বেলা পৌনে তিনটায় ট্রেনটি আবার কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ওই ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় আবার ছাড়বে ট্রেনটি। সেটি চট্টগ্রাম স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১০টায়।

এই দুই জোড়া ট্রেন যাত্রাপথে যাত্রী ওঠা–নামার জন্য ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে। প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনে খাবার গাড়ি যুক্ত হচ্ছে। এতে করে এই ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেনে চা-কফিসহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, যাত্রীদের বিপুল চাহিদা ও রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা বিবেচনায় ট্রেন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যমান জনবল এবং লজিস্টিকস ব্যবহার করেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জানান, নতুন ট্রেন এবং বিদ্যমান ট্রেনের এই যাত্রা যাত্রী চাহিদা মেটানো ও পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঈশান/খম/সুম

[print_link]

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page