মঙ্গলবার- ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ

চমেক হাসপাতালে এখনও কাতরাচ্ছে ১৭ জন, আশঙ্কাজনক ১

চমেক হাসপাতালে এখনও কাতরাচ্ছে ১৭ জন, আশঙ্কাজনক ১
print news

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নেন নানান বয়সী দুই শতাধিক মানুষ।

এদের কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। আবার কেউ চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। এদের মধ্যে এখনো ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে থাকা একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আবদুল মজিদ (২০) নামে ওই যুবক পেশায় পরিবহন শ্রমিক। চাঁদপুরে একটি গণপরিবহনের হেলপার ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় গত বৃহ¯পতিবার চাঁদপুরে আহত হন। এতে তার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নগরীর মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকা।

ওইদিন প্রায় ৮০ জন আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে ১৮ জুলাই সকাল থেকে নগরীর শাহ আমানত নতুন ব্রিজ, বহদ্দারহাট ও জিইসি মোড় এলাকায় ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

সংঘর্ষের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ৭০ জনের বেশি আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। মারা যায় এক শিক্ষার্থীসহ আরও দুজন। এরপর ১৯ ও ২০ জুলাই বিচ্ছিন্নভাবে নগরীর কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। যাদের অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেও ১৬ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

চমেক হাসপাতালের তথ্যমতে, আহত পরিবহন শ্রমিক আবদুল মজিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন ২০ নম্বর চক্ষু ওয়ার্ডে, ৬ জন ২ নম্বর ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে, ২ জন ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে, ৫ জন ২৬ নম্বর অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা সকলে আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক। 

ঈশান/খম/সুপ

আরও পড়ুন

No more posts to show
error: Content is protected !!