
চার ধরনের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষ। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিগুণ। চমেক হাসপাতালে গত বছরের রোগী ভর্তি ও সেবার তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
রোগীর সেবার সংখ্যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, নারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সারে। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সারেই আক্রান্ত হয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন চিকিৎসকের। আবার নারী পুরুষ উভয়ে আক্রান্ত হচ্ছে টিউমার জনিত ক্যান্সারে।
গত বছরের রোগীদের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, পুরুষ রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশ রোগী মুখগহ্বরের, ১৭ শতাংশ ফুসফুস সংক্রান্ত, ১১ শতাংশ খাদ্যনালী, ৫ শতাংশ কোলেরেক্টাল, ৪ শতাংশ পাকস্থলী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া বাকি ৪৪ শতাংশ পুরুষ অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
নারীদের ক্ষেত্রে ২৪ শতাংশ নারী স্তন ক্যান্সারে, ১৮ শতাংশ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে, ১৩ শতাংশ নারী মুখগহ্বর ক্যান্সারে, ৬ শতাংশ নারী খাদ্যনালী ক্যান্সারে, ৫ শতাংশ ফুসফুসের এবং ৩৬ শতাংশ নারী অন্যান্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের তুলনায় সচেতনতা বাড়লেও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আগে নারীদের জরায়ু ক্যান্সারের হার বেশি থাকলেও এখন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বেড়েছে।
এছাড়া বিলম্বে বিয়ে, দীর্ঘ বিরতি দিয়ে সন্তান নেওয়া এবং শিশু সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানোকে নারীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ বলেও মনে করছেন তারা। এছাড়া পুরুষদের ক্ষেত্রে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে তারা আক্রান্ত বলেও মত চিকিৎসকদের।