বৃহস্পতিবার- ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

চেক ডিজঅনার মামলায় বাদীকেই ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

print news

চেক ডিজঅনারের মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রতিষ্ঠানের মালিককে হয়রানির ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারী ও মামলার বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এ কে এম গোলাম ফারুকের কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ ২টি চেক চুরি করে ২০১১ সালে চাকরি ছেড়ে দেন।

আরও পড়ুন :  মাদক বাণিজ্যেরও গডফাদার ষোলশহর রেল জংশনের মাস্টার জয়নাল!

পরবর্তীতে মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ সাবেক মালিক কে এম গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ১০ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের প্রথম মামলাটি করেন। উক্ত মামলা চলাকালীন পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের আরেকটি মামলা করেন। মামলা চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের যথাক্রমে যুগ্ম দায়রা জজ ২য় এবং ৭ম আদালতে বিচার হয়। প্রথম মামলাটিতে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের সাজা হয় এবং দ্বিতীয় মামলাটিতে আসামি খালাসপ্রাপ্ত হন।

আরও পড়ুন :  মাদক বাণিজ্যেরও গডফাদার ষোলশহর রেল জংশনের মাস্টার জয়নাল!

অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান আরও বলেন, খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছ হাইকোর্টে আপিল করেন। অন্যদিকে সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আসামি এ কে এম গোলাম ফারুক প্রথমে চট্টগ্রামে আপিল এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন।

দুই মামলা একইসঙ্গে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট উভয় মামলায় আসামি এ কে এম গোলাম ফারুককে খালাস প্রদান করেন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করে আসামিকে হয়রানি করার জন্য বাদী মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুসকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

আরও পড়ুন :  মাদক বাণিজ্যেরও গডফাদার ষোলশহর রেল জংশনের মাস্টার জয়নাল!

আদালতে মো. জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ কে এম ফকরুল ইসলাম। মামলার আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা ও অ্যাডভোকেট শারমীন আক্তার।

আরও পড়ুন

No more posts to show