
উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএ করপোরেশনের চার কর্মী। দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে তাদের চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেলওয়ে থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চার জনকে আদালতে সোপর্দ করার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি এসএম শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘উদয়ন ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জন দুই দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ সম্পর্কে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। স্বীকার করেছে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। এমনকি ধর্ষণের ঘটনা তারা বর্ণনা করেছে। তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
যেহেতু তারা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে, সে জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে আর আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে না।’ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তর চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালত শুনানি শেষে সোমবার (১ জুলাই) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৫ জুন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী এসএ করপোরেশনের চার কর্মী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী তরুণী চার জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত এসএ করপোরেশনের চার কর্মীকেই গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার এস এ করপোরেশনের চার কর্মী হলো– ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন ভাদেশ্বরা এলাকার বাছির মিয়ার ছেলে জামাল (২৯), জামালপুরের ইসলামপুরের কুলকান্দি মধ্যপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রাশেদুল হক (২৮), জামালপুরের সরিষাবাড়ির কুমারপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে শরিফ মিয়া (২১) এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুরের গোলাম নবীর ছেলে আব্দুর রব রাসেল (২৮)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই তরুণী মঙ্গলবার (২৫ জুন) সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। ওই তরুণী টিকিট না পেয়ে ট্রেনের খাবার বগির একটি সিটে বসেন। ওই ট্রেনে বুধবার ভোরে এজাহারভুক্ত চার জন তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় নেয়। আরও একজনকে পরদিন গ্রেপ্তার করা হয়।