
গত কয়েকবছর ধরে মশার রাজত্ব চলছে চট্টগ্রামে। খোলা আকাশে দিন দুপুরে ১০ সেকেন্ড দাড়ালে শরীরে হুল ফোটায় হাজারো মশা। বদ্ধ ঘরেও দিনে-রাতে স্বস্তি মিলছে না মশার আক্রমণ থেকে। মশার উৎপাত নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মাঝে মাঝে মশা মারার নানা তোড়জোড় দেখালেও দিনশেষে দেখা যায় মশার জয় উল্লাস।
আর এর মধ্যেই শুরু হয়েছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর মৌসুম। কিন্তু সেই সিটি করপোরেশন এখনো হাত গুটিয়ে। মশা মারার কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো গতি নেই, রুটিন কাজেই সীমাবদ্ধ তারা। এতে হতাশ স্বয়ং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যারা ডেঙ্গুর প্রভাব মোকাবিলায় এখনই মশা নিধনসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনকে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মুঈন মাশুক জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। এর আগে ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ২৭১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন পাঁচজন। ২০২২ সাল থেকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। ওই বছর চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের। ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর চিত্র ভয়ংকর আকার ধারণ করে।
এই সময়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৪ হাজার ৮২ জন। এর মধ্যে ডেঙ্গু রোগীদের ৬৫ শতাংশ পুরুষ, প্রতি পাঁচজনে একজন শিশু। আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগই শহরে বাস করে। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা।
আর এবছরও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী, যার প্রতিফলন দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর ফেসবুক পেজের যেকোনো পোস্টেই মশা মারার আকুতি জানান নেটিজেনরা।
নগরীর চান্দগাঁও আবাসিকের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মণির হোসেন বলেন, দিনে-রাতে মশার জ্বালায় শহরে থাকতে পারছি না। নগরীর যে কোন স্থানে খোলা আকাশে দিন দুপুরেও ১০ সেকেন্ড দাড়ালে শরীরে হুল ফোটায় হাজারো মশা। বদ্ধ ঘরেও দিনে-রাতে স্বস্তি মিলছে না মশার আক্রমণ থেকে। মশার কামড়ে গত বছর আমার ছেলে ডেঙ্গু আক্রাস্ত হয়েছিল। এবার কী হবে জানি না। সিটি করপোরেশনেরও কোনো কর্মকান্ড চোখে পড়ে না। তাদের উচিত ছিল বর্ষা আসার আগেই মশা মারার কার্যক্রম শুরু করা।
নগরীর শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা আবুল হাসেম বলেন, আমাদের বিল্ডিংয়ের সঙ্গে লাগোয়া নালায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে। দুই বছর ধরে সিডিএ বাঁধ দিয়ে রেখেছে। ময়লা-আর্বজনা জমে আছে। বারবার বলার পরও বাঁধ সরানো হচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। সেই পানি বিভিন্ন গর্তে, বিল্ডিংয়ের কোণায় জমে থাকে। আবার সিটি করপোরেশন বলছে, জমে থাকা পানিতে মশা হবে। তাহলে আমরা কোথায় যাব? আমরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে এ দায় কার?
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা শুনা যায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীর কন্ঠেও। তিনি বলেন, গত তিন বছরের মধ্যে গত বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারে আমাদের সব ধারণাকে ছাড়িয়ে যায়। আমরা যদি সচেতন না হই, তাহলে এ বছর কী পরিস্থিতি হবে, সেটা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তবে ভালো কিছু যে হবে না, সেটা সহজেই অনুমেয়।
শঙ্কা আছে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের মধ্যেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা এবার ডেথ রেট নিয়ে বেশি শঙ্কিত। গতবার যারা আক্রান্ত হয়েছে, তারা যদি আবার আক্রান্ত হন, তাহলে মৃত্যুহার বাড়তে পারে।
নগরবাসীর অভিযোগ, কেবল ডেঙ্গুর প্রকোপ চরম আকার ধারণ করলেই সিটি করপোরেশন মশা নিধনের তোড়জোড় শুরু করে। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমলে তারা আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার মৌসুম চলে গেলে তখন মশার উপদ্রব বাড়লেও সিটি করপোরেশন লোক দেখানো কিছু কর্মসূচি ছাড়া আর কিছুই করে না। অথচ বছরজুড়ে মশা নিধনের কর্মসূচি চালু রাখলে নগরবাসী স্বস্তি পেত।
সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে মশা নিধনের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। সেই কর্মসূচি বর্ষার আগ পর্যন্ত প্রতি ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নিয়মিত করার কথা ছিল। কিন্তু ওষুধস্বল্পতা ও পরে এ খাতের কর্মীরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতির কাজে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় মশা নিধনের কার্যক্রম থমকে যায়।এ অবস্থায় গত দুই মাসে চসিকের মশা নিধনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ আছে।
চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের কাছে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ইভেন্ট ছিল কোরবানি। আমরা কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। এটাও কিন্তু ডেঙ্গু মোকাবিলার কাজের অংশ। কোরবানির বর্জ্য অপসারণও একই কাজের অংশ। সুতরাং আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় একেবারে কোনো কাজ করছি না, এমন নয়।
তিনি বলেন, কোরবানির আগেই আমরা আগের জমে থাকা বর্জ্য অপসারণ করেছি। মশা নিধনের কাজের জন্য আমাদের যে লোকবল আছে, সেটাও আমরা বর্জ্য অপসারণের কাজে ব্যবহার করেছি। এবার আমরা বড় আঙ্গিকে মশা নিধনের ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করব।
চসিকের কর্মকর্তাদের মতে, জুন থেকে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাবের মৌসুম শুরু হলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে গিয়ে সেটা মারাত্নক আকার ধারণ করে। এই প্রবণতা বিবেচনায় রেখেই তারা মশা নিধনের জোরালো পদক্ষেপ নেবেন। তবে মশা নিধনের ওষুধ, লোকবলসহ আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামের এবার কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন তারা।
তবে এবার ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি গত বছরের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উড়ন্ত বা পূর্ণবয়স্ক মশা এবং লার্ভা নিধনের জন্য তিন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয় লার্ভা মারার জন্য।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, চসিকের কাছে এ মুহুর্তে ২০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড ও তিন হাজার লিটার ফরমুলেশনবিহীন লার্ভিসাইড (লার্ভা মারার ওষুধ) মজুত আছে। ১৬ হাজার লিটার এলডিইউ (কালো তেল) মজুত আছে। এ ছাড়া ভেষজ ওষুধ মসকুবার মজুত আছে ৮০০ লিটার। মশকনিধন কার্যক্রমে গতি আনতে ৬০টি ফগার মেশিন ও ১০০টি ¯েপ্র মেশিন কেনা হয়েছে।
জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহী বলেন, গত বছরের চেয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ২০ হাজার লিটার অ্যাডাল্টিসাইড আমরা কিনে রেখেছি। তিন হাজার লিটার র-লার্ভিসাইড আছে। এক লিটার লার্ভিসাইড তিন হাজার লিটার ওষুধে মিশিয়ে ব্যবহার সম্ভব। সুতরাং ওষুধের কোনো ঘাটতি এবার হবে না।
তবে চসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে নালা-নর্দমা আর ভবনের আশপাশে ওষুধ ছিটানো হলেও তা একেবারেই অপ্রতুল। রুটিন কাজের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। এতে মশার উপদ্রব সেভাবে কমছে না। তবে চসিক দায়িত্বশীলদের দাবি, অ্যাডাল্টিসাইডের সঙ্গে ভেষজ মসকুবার মিশিয়ে মশা নিধনে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে সুফল মিলছে।
জানা গেছে, চসিক ছাড়া দেশের অন্য কোনো সিটি করপোরেশন মসকুবার ব্যবহার করছে না। গত বছর চসিক এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছিল। চট্টগ্রামে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি কারখানা থেকে এ ওষুধ সংগ্রহ করা হয়। তবে পাবলিক হেলথ প্রকিউরমেন্ট (পিএইচপি) এ ওষুধ বাজারজাতের অনুমোদন এখনো দেয়নি, কেবল সায়েন্স ল্যাব অনুমোদন দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে মসকুবার ব্যবহারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আপত্তি দেবে কি না, এ প্রশ্নও উঠছে।
অনুমোদনহীন ওষুধ ব্যবহারের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরফুল ইসলাম মাহী বলেন, আমরা ব্যবহারের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাডাল্টিসাইডের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রার মসকুবার মিশিয়ে বদ্ধ পরিবেশে প্রয়োগ করলে শতভাগ মশা মারা যায়। উন্মুক্ত পরিবেশে ফগিং করলে প্রায় ৮০ শতাংশ মশা ইনস্ট্যান্ট মারা যায়। কারণ শুধু অ্যাডাল্টিসাইড কাজ করে মশার শ্বাসতন্ত্রে। কিন্তু মসকুবার ব্যবহার করলে ত্বকেও কাজ করে এবং মশা দ্রুত মারা যায়।
৪৯১টি হট¯পট মশার প্রজননক্ষেত্র
চট্টগ্রামের ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রামের ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল পাঁচটি এলাকায়— বাকলিয়া, চকবাজার, কোতোয়ালি, ডবলমুরিং ও বায়েজিদ বোস্তামি। এসব এলাকাকে গবেষকেরা হট¯পট হিসেবে চিহ্নিত করেন।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মাঠপর্যায়ে জরিপ করে নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মশার প্রজননক্ষেত্র হিসেবে ৪৯১টি হট¯পট চিহ্নিত করেছিল। এরপর চিহ্নিত হট¯পট এবং যে বাসায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছিল, তার আশপাশে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখন ওষুধ ছিটানো হয়। কিন্তু এবার বর্ষা শুরু হলেও মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নেয়নি চসিক।
জানতে চাইলে চসিকের মশক ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহী বলেন, মশার নির্দিষ্ট কিছু প্রজননক্ষেত্র আছে। যেমন চাক্তাই খালের ব্লক, ডাইভারশন খাল, মহেশখাল এবং এসব খালের সঙ্গে লাগোয়া নালাগুলো। একটি লার্ভার ডিম আড়াই থেকে তিন বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। সে হিসাবে আমরা ¯পটগুলোকে চিহ্নিত করেছি। আমরা সেগুলোতে নিয়মিত ওষুধ প্রয়োগ করি।
তবে নগরীতে ন্যাচারাল ব্রিডিং ¯পট বেশি। প্রজনন ক্ষেত্রও ডে বাই ডে চেঞ্জ হয়। দেখা গেছে, গতবার যেখানে মশা জন্মায়নি, সেখানে এবার পানি জমে থাকার কারণে উলটো চিত্র। বর্ষা শুরু হলেও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে মশার উপদ্রব বেশি হবে। আমরা অবশ্যই এর আগেই ব্রিডিং ¯পট চিহ্নিত করে ওষুধ ছিটাব- বলেন শরফুল ইসলাম মাহী।
চসিক কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, ব্রিডিং পয়েন্ট চিহ্নিত করা বড় বিষয় না। মানুষের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, ভবন একেকটা ব্রিডিং পয়েন্ট হতে পারে। সে বিবেচনায় আমাদের কাজ করতে হবে। কোনো ¯পট যেন ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রমের আওতার বাইরে না থাকে, সেটা আমরা দেখব।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। কোরবানির ঈদের পর জনসচেতনতা কার্যক্রম শুরু করব। প্রত্যেক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এলাকায় এলাকায় আমরা লিফলেট বিলি, মাইকিং শুরু করব। সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতালে আমরা বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার বুথ স্থাপন করেছি। এর বাইরে মশা নিধনের কার্যক্রম পরিচ্ছন্ন বিভাগের কাজ। এটা তারাই করবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক রাসেল বলেন, চসিক যে প্রক্রিয়ায় আগাচ্ছে, এভাবে শো-ডাউন হবে, মশা মরবে না। এখন থেকে যদি পরিকল্পিত ও বৈজ্ঞানিকভাবে মশা মারার কার্যক্রম হাতে না নেয়, তাহলে গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। শুধুমাত্র ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যখন বাড়বে, তখন তো ওষুধ ছিটিয়ে লাভ নেই। বছরজুড়ে ওষুধ ছিটাতে হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সিটি করপোরেশন কোনো পরামর্শ শোনে না, প্রকোপ কমে গেলে তাদের তৎপরতাও থাকে না।