
তাইওয়ান ঘিরে আবারও সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সেই সঙ্গে দেশটি তাইওয়ানকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) থেকে এই সামরিক মহড়া শুরু হয়।
তাইওয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়ান লাইয়ের সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে বেজায় চটেছে চীন। এরপরেই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করল দেশটি। প্যারাগুয়ে যাওয়ার পথে নিউ ইয়র্কে যাত্রাবিরতি নেয় লাই। সেখানে মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আগামী জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন লাই। তিনি চীন বিরোধী এবং যুক্তরাষ্ট্রপন্থি হিসেবে পরিচিত।
শনিবার চীন লাইকে ফের ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ বলে অভিহিত করেছে চীন। একইসঙ্গে দেশটি জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া দেশটির সামরিক মুখপাত্র শি ইকে বরাত দিয়ে বলেছে, চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড তাইওয়ান ঘিরে নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ বিমান ও সমুদ্র টহল এবং সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
সিনহুয়া আরও জানায়, এই মহড়ার উদ্দেশ্য পিএলএ’র আকাশ ও সমুদ্রপথে নিয়ন্ত্রণ দখল করা এবং বাস্তব যুদ্ধের পরিস্থিতিতে লড়াই করার সক্ষমতা পরীক্ষা করা। এই মহড়ার হচ্ছে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিদেশি উপাদান এবং তাদের উস্কানির সঙ্গে যোগসাজশের জন্য একটি কঠোর সতর্কবাণী।
‘ওয়ান চায়না’ পলিসি অনুসারে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। দেশটি অঙ্গীকার করেছে, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে নেবে। যদিও শুরু থেকে এ বিষয়টির বিরোধিতা করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। -এএফপির।