এস আলমের গাড়ি সরানো কান্ডে পদ হারানো চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়া নিজেদের পদ ফিরে পেয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে পৃথক তিনটি চিঠিতে আবু সুফিয়ান, এনামুল হক এনাম ও মামুন মিয়াকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এতে প্রায় ৩ মাস ২৪ দিন পর দলীয় পদ ফিরলেন তাঁরা।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সু¯পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ সেপ্টেম্বর দলীয় গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ আপনার সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছিল।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ২৫ ডিসেম্বর বুধবার নির্দেশক্রমে আপনার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারসহ প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেয়া হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে। এখন থেকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আপনি কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে দল আশা রাখে।
ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য আপনাকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট এস আলম গ্রুপের ওয়্যারহাউজ ফ্যাক্টরি থেকে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রাতের আঁধারে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির তিন নেতাকে শোকজ করা হয়।
নোটিশ পাওয়া বিএনপি নেতারা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়।
পরে নির্ধারিত সময়ে বিএনপির তিন নেতা সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় দলীয় তদন্তে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত না থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ৩ মাস ২৪ দিন পর তাদের সকল ধরনের পদ-পদবি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিনা দোষে শাস্তি পেয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এবং জনগণ দুঃসময়ে আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন। তাদের প্রতি এবং আমার নেতা তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আবু সুফিয়ান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর দেশের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে আমরা রাজপথে লড়াই করেছি। নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন নয় জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিএনপির রাজনীতি। জনগণের দল হিসেবে বিএনপি জনগণের পাশে ছিল, আগামীতেও থাকবে।