মঙ্গলবার- ২১ জানুয়ারি, ২০২৫

দুদকের মামলা কিছুই না-রেলের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ভাষ্য

রেলে খালাসি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে তিন বছর পার
print news

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ২০১৯ সালে ৮৬৩ জন খালাসি পদে নিয়োগ দেয় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ। আর এতে দূদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে অধিকাংশ নিয়োগে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় প্রভাবশালী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে মোটা অংকের অর্থ ও তদবিরের মাধ্যমে। এতে আনা হয়নি কোন পোষ্য কোটাও। এমন কি হদিস পাওয়া যায়নি নিয়োগ সংক্রান্ত অধিকাংশ রেকডপত্রেরও।

নিয়োগে এই অনিয়মের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর স্বারক নং-৭৫৮৩, তারিখ-২৯-১২-২০২০ (ই/আর নং-১৪১/২০১৯) উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনায় নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিম্নে উল্লেখিত ধারায় (দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১৬৩/১০৯ ও মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজুর (এজাহার দায়ের) সিদ্ধান্ত কমিশন কর্তৃক গৃহিত হয়।

কিন্তু অভিযুক্তদের ভাষ্য, দুদকের মামলা কিছুই না। দিব্যি অফিস করছেন তাঁরা। করছেন নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি। মামলার অভিযুক্তরা ও তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে এরা হলেন রেলওয়ে পূবাঞ্চলের কমার্শিয়াল চিফ জোবেদা আক্তার, প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, খোন্দকার সাইফুল ইসলাম মামুন, গাড়ি চালক হারাধনসহ তাঁরা নিয়মিত অফিস করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা হেসে উঠে বলেন, অনিয়ম ও দূর্নীতি এখন বড় কোন বিষয় না, রেলে দূর্নীতি নাই এমন দপ্তর কোনটা? পূর্বাঞ্চল রেলে যে কয়টি সেকশন আছে তা নিজের বিবেকের চোখ দিয়ে দেখেন কোথাও দূর্নীতির অভাব আছে কিনা? দূদক কতবার এমন দূর্নীতির অভিযুক্তদের ধরেছে। এসব অনিয়ম ধরা পড়লে তদন্ত কমিটি হয়। শেষ পর্যন্ত এ তদন্ত কমিাটর প্রতিবেদন কোন দিন আলোর মুখ দেখে নাই । রেলে চাকরি জীবনে কত অনিয়ম দূর্নীতি দেখলাম। ২-৪ দিন পরে সব- যে লাউ সেই কদু।

তিনি বলেন, দুদকের তদন্তের নিয়মের দোহায়ে দূর্নীতি অনুসন্ধান বা তদন্ত কাজে বিশেষ ক্ষমতা: দূর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ অনুযায়ী (২০-ক) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২০ এর অধীন ক্ষমতা প্রাপ্তির তারিখ হতে অনধিক ১২০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এই আইনে ও তফসিলে উল্লেখিত কোন অপরাধের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

উপ-ধারা ১ এ কোন যুক্তি সঙ্গত কারণে উক্ত উপ-ধারায় উল্লেখিত সময়মীমার মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে, তদন্তকারী কর্মকর্র্তা সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য কমিশনের নিকট আবেদন করে এ ক্ষেত্রে কমিশন আরও অনধিক ৬০ কর্ম দিবস সময় বৃদ্ধি করতে পারে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপধারা (১) বা ক্ষেত্রমত (২) এ উল্লেখিত সময়সীসার মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে- (ক) উক্ত তদন্ত কাজ ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে সমাপ্তির জন্য নতুনভাবে অন্য কোন কর্মকর্তাকে ধারা ২০ এর বিধান অনুসারে ক্ষমতা অপর্ণ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অদক্ষতার অভিযোগ, ক্ষেত্রমত, কমিশন, পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার জন্য প্রযোজ্য আইন বা বিধি-বিধান অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। কিন্তু দুদক কি সে নিয়মের একটিও বাস্তবায়ন করেছেন। করলে তো অভিযুক্তরা অফিসে থাকত না, জেলে থাকতেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

তবে দূদক, চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, এ মামলার কাজ চলমান। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দুদকের অভিযোগের বিবরণে বলা হয়, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) সৈয়দ ফারুক আহমদ, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত তিনি কম্বাইন্ড মার্কসিটে ৪ জন সদস্যের নম্বর দেখানো হলেও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. খলিলুর রহমানের মূল্যায়ন নম্বর প্রতারণাপূর্বক সৃজন করে এবং তা খাটিঁ/সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে, বয়স্ক ও জাল সনদধারী লোকদের চাকরি প্রদান করে কার্যবিবরণিতে ৩ জন সদস্যের স্বাক্ষর করলেও অন্যজনের স্বাক্ষর না করার বিপরীতে কোয়ারি না করে চুড়ান্ত অনুমোদন দিতে অসৎ উদ্দেশ্যে ৪০ দিন বিলম্ব করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় নিজে লাভবান হয়ে এবং আন্যকে অন্যায লাভে লাভবান করে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এছাড়া প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (পূর্ব) ও আহবায়ক খালাসি নিয়োগ কমিটি মো. মিজানুর রহমান, তিনি নিয়োগ কমিটির আহবায়ক থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগ কমিটির ২ সদস্যের ইনডিভিজুয়াল মার্কসিট না থাকা সত্বেও কম্বাইন্ড মার্কসিটে ৪ জনের নম্বর দেখানো হলেও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. খলিলুর রহমানের মূল্যায়ন নম্বর প্রতারণাপূর্বক সৃজন করেও তা ব্যবহার করে, বয়স্ক ও জাল সনদধারী লোকদের চাকরি প্রদান করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূূর্বক একে অপরের সহযোগিতায় নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জোবেদা আকতার, সদস্য সচিব খালাসি নিয়োগ কমিটি, এ দায়িত্ব পালনকালে নিয়োগ কমিটির দুই জন সদস্যের ইনডিভিজুয়াল মার্কসিট না থাকা সত্বেও কম্বাইন্ড মার্কসিটে ৪ জনের নম্বর দেখানো হলেও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. খলিলুর রহমানের মূল্যায়ন নম্বর প্রতারণাপূর্বক সৃজন করেও তা ব্যবহার করে, বয়স্ক ও জাল সনদধারী লোকদের চাকরী প্রদানপূর্বক অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে একে অপরের সহযোগিতায় নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

টিএসও বর্তমান দায়িত্ব (ডিএন-২ পূর্ব) পাহাড়তলী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, খালাসি নিয়োগ কমিটির সদস্য ডয়লেন। এ দায়িত্ব পালনকালে নিয়োগ কমিটির দুই জন সদস্যের ইনডিভিজুয়াল মার্কসিট না থাকা সত্বেও কম্বাইন্ড মার্কসিটে ৪ জনের নম্বর দেখানো হলেও নিয়োগ কমিটির সদস্য মো. খলিলুর রহমানের মূল্যায়ন নম্বর প্রতারণাপূর্বক সৃজন করে ও তা ব্যবহার করে, বয়স্ক ও জাল সনদধারী লোকদের চাকরি প্রদানপূর্বক অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে একে অপরের সহযোগিতায় নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

হারাধন দত্ত, (এমএলএসএস) পিয়ন হয়েও প্রাক্তন মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) সৈয়দ ফারুক আহমদ এর গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত থেকে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রভাব খাটিয়ে তারই আত্বীয় বয়স্ক লোক শ্রী সুকুমার দে, ক্রম নং- ৮৪০, রোল নং- চট্টগ্রাম/৭২৩ কে অবৈধ উপায়ে চাকরী প্রদানের নিমিত্তে জাল সনদ সৃজন করে ও তা খাটিঁ/সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে, বয়স কারচুপিতে সহায়তা করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সুরাইয়া সোলতানা, ঢাকা শাহজানপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। অসৎ ইদ্দেশ্যে প্রতারনার আশ্রয়ে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক হাজিরা খাতা ও ভর্তি রেজিস্ট্রারে না থাকা সত্বেও একে অপরের সহযোগিতায় শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১২ (বার)জন ছাত্রকে অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ প্রদান করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মো. আবূল বশর খান, পিতা: মৃত লোকমান হোসেন খান, মাতা: আকিরন নেছা, গ্রাম: দূর্গাপুর, ডাকঘর: হাটমদাপুর, উপজেলা:কালুখালী, জেলা: রাজবাড়ী অসৎ উদ্দেশ্যে নিজের প্রকৃত বয়সের তথ্য গোপন করে টিকেট প্রিন্টিং প্রেস কলোন হাই এর প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাশ ও তার বড় বোনের জামাই রেলওয়ে কর্মচারী নেতা খোন্দকার সাইফুল ইসলাম (মামুন) এর অবৈধ সহায়তায় প্রতারণাপূর্বক ভর্ত্তি রেজিস্ট্রার ও পূর্ববর্তী প্রতিষ্টান আর্দশ কিন্ডার গার্ডেন হাই স্কুলের অস্তিত্ব না থাকা সত্বেও অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ সৃজন করে ও তা ব্যবহার করে অপর আসামিদের সহযোগিতায় খালাসি পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

খোন্দকার সাইফুল ইসলাস (মামুন) প্রধান সহকারী, সিপিও (পূর্ব) দপ্তর, তার আপন বড় বোনের জামাই মো. আবূল বশর খানকে খালাসি পদে নিয়োগ দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে একে একে অপরের সহযোগিতায় আবেদন পত্রে যোগাযোগের ঠিকানা ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বয়স্ক নাগরিককে প্রতারনার আশ্রয়ে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে চাকরি প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মৃনাল কান্তি দাশ, প্রধান শিক্ষক ও সচিব, টিকেট প্রিন্টিং প্রেস কলোনী হাই স্কুল, ডাকঘর ; পাহাড়তলী, থানা :ডবলমুরিং, চট্টগ্রাম অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারনার মাধ্যমে টিকেট প্রিন্টিং প্রেস কলোনী হাই স্কুল এর প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত থেকে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক ভর্তি রেজিষ্টার ও পূর্ববর্তী স্কুলের পূর্ববর্তী প্রতিষ্টান আর্দশ কিন্ডারগার্ডেন হাই স্কুলের অস্বিত্ব না থাকা সত্বেও অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ সৃজন করে ও উহা ব্যবহারের সুযোগ প্রদানপূর্বক মো: আবুল বশর খানকে চাকরী প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে গুদাম থেকে রেলের মূল্যবান সরঞ্জাম উধাও!

মো: আক্তার হোসেন, অফিস সহকারী ,শাহাজাহানপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারনার আশ্রয়ে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক হাজিরা খাতা ও ভর্তি রেজিস্ট্রার না থাকা সত্বেও একে অপরের সহযোগিতায় শাহাজাহানপুর রেলওয়ে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১২ (বার) জন ছাত্রকে অষ্টম শ্রেণী পাসের সনদ প্রদান করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দূর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আমিরুজ্জামান আশীষ, প্রোপাইটর মেসার্স ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ,ফাতেমা ফেব্রিকস,জি-৩৫,ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা, রেইসকোর্স, কুমিল্লা, পিতা : মরহুম শরাফত আলী, মাতা: ফাতেমা বেগম,কর্মস্থল : চলন কলেজ, শিক্ষক(আইটি), কুমিল্লা সদর দক্ষিন, কুমিল্লা। খালাসি পদে ১৩ জন প্রার্থী হতে ঘুষ বাবদ ৫৯,৫০,০০০.০০ (উনষাট লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) টাকা অবৈধ উপায়ে নিয়োগ দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অপর আসামীদেও সহায়তায় প্রতারনাপূর্বক গ্রহণ করেূ এবং তার নামীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানের পাচার/ বিনিয়োগ করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/১৬৩/১০৯ ধারা তৎসহ ২০১২এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মোসা: পারভিন আক্তার, স্বামী: রবিউল ইসলাম, মাতা: মৃত সফুয়া খাতুন, বাসা/হোন্ডিং-১৩৩, রাস্তা: ব্যাংকারস রোড়, লুকাস মোড়, পশ্চিম নাখালপাড়া, ডাকঘর: তেজগাঁও-১২১৫, থানা: তেজগাঁও, ঢাকা, খালাসি পদে ৯ (নয়) জনপ্রার্থী হতে এস এ পরিবহন কুরিয়ার সাভিসের মাধ্যমে ঘুষ বাবদ ৩৯,৯৪,০০.০০০.০০(উনচল্লিশ লক্ষ চুরানব্বই হাজার টাকা) ও মো: তারেক হোসেন, রোল নং-ঝাল/২৫৩, পিতা: মৃত সো: মোশারফ হোসেন মৃধা, মাতা: মিনারা বেগম, গ্রাম:কিস্তাঘাটি ডাকঘর: কোনাবালিয়া, থানা: ঝালকাঠি হতে নগদে ২,০০.০০০.০০(দুই লক্ষ টাকা) টাকাসহ মোট ৪১,৯৪,০০০.০০(একচল্লিশ লক্ষ চুরানব্বই হাজার টাকা) নিয়োগ দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারনাপূর্বক গ্রহণ করে এবং তার নামীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানের পাচার/বিনিয়োগ করে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায় লাভে লাভবান করে দন্ডবিধি’র ৪২০/১৬৩/১০৯ ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সুুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি আখতার কবির চৌধুরী বলেন, দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত দীর্ঘায়িত মানে পাহাড়াদার ও চোরের সাথে যোগসাজসে আপোষের মাধ্যমে দূর্নীনিবাজদেরও সুযোগ করে দেয়া। তদন্ত যত দীর্ঘায়িত হবে, অভিযুক্তরা ততই সুযোগ পাবে। হয়ত দেখা যাবে তদন্তের শেষ না হতেই অনেকে অবসরে চলে গেছে,আবার অনেকে আরো দূর্নীতি করে দেশের বাইরে গিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় বাড়ী গাড়ী করছে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। রেলের এমন অনেক নজির আছে।

আরও পড়ুন

No more posts to show