
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশে ট্রাক-সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাড়িয়েছে। বৃহ¯পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের চরকানাই মিলিটারি পুলের দক্ষিণ পাশে হক্কানি পেপার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে পটিয়া থানার ওসি মো, জসিম উদ্দিন সর্বশেষ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে এক নারী ও এক শিশুর লাশ পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। দুইজনের লাশ তাদের স্বজনরা নিয়ে গেছেন। আহত আর একজনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গাড়ি দুটি আটক রয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সিএনজি অটোরিক্সায় পাঁচজন ছিলেন। এর মধ্যে চারজন মারা গেছে। এদের মধ্যে নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের মো. আলীর মেয়ে রুমি আকতার (৩০) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফাহিম (৫)।
অপরজন সিএনজি চালক মো. আনোয়ার হোসেন প্রকাশ অনলাইন ড্রাইভার (৩৭) বোয়ালখালী উপজেলার আহলা দরবার শরীফস্থ শেখ চৌধুরী পাড়ার সোনা মিয়ার পুত্র। নিহত রুমি আকতার এর প্রতিবেশী মো. নজরুল ইসলাম জানান, নিহত রুমি ও আহত অপর যাত্রী কালুঘাট এলাকার মেট শো নামের একটি জুতা কারখানায় কাজ করতেন। তারা কারখানা থেকে ডিউটি শেষে পটিয়ায় বাড়িতে ফিরছিলেন। ফাহিম রুমি আকতারের বোনের ছেলে। আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে বোয়ালখালীগামী বালি বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে পটিয়াগামী সিএনজি অটেরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজি অটোরিক্সাটিতে চালকসহ পাঁচজন ছিলেন। অটোরিক্সাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে সিএনজি অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় এক নারী ও শিশুসহ তিনজনকে উদ্ধার করে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে যায়।