বৃহস্পতিবার- ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

ফাইলে জটিলতা দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন চসিকের সিইও তৌহিদ

মেয়রসহ ৪ দপ্তরে অভিযোগ

ফাইলে জটিলতা দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন চসিকের সিইও তৌহিদ
print news

প্তরে ফাইল গেলেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি করে অনৈতিকভাবে সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এমন অভিযোগ করেছেন আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চেতনা বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে আমজাদ হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।

গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জমা পড়েছে মেয়র বরাবরে। এছাড়া অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে।

অভিযোগে সীমাহীন দুর্নীতি, টেন্ডার বাণিজ্য, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গুপ্তচর ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সিটি মেয়রের তিন বছরের বিদ্যমান সাফল্য বাধাগ্রন্তকারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আপনি (মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী) নগর পিতা। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর ৭০ লাখ মানুষের অভিভাবক। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বসে বিভিন্ন রকম অপকর্ম করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি তার দপ্তরকে টাকা আয়ের কারখানা বানিয়েছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ফাইলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্তরের সুবিধাভোগীদের মুঠোফোনে কল দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। যার কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। যা আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন-৪১ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করবে। এই কর্মকর্তার আরও অনেক ফিরিস্তি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নথিপত্রের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের একান্ত গোপন বিষয়াদি বিভিন্ন মহলে আলোচনা সৃষ্টি করে ভাবমূতি নষ্ট করছেন এই কর্মকর্তা। তৌহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে। সে যে একজন সাবেক শিবির ক্যাডার ছিলেন তার সত্যতা তদন্ত করলে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।

অভিযোগে বলা হয়, ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনলাইন ও বিভিন্ন পত্রিকায় দুর্নীতি খবর প্রকাশ হয়েছে। যার প্রমাণ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে এসব তথ্য সংরক্ষিত আছে। এছাড়া বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে মেয়রকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। তার দপ্তর যেন টাকা আয়ের কারখানা।

সম্প্রতি অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে বলেন, এই বিষয়ে আপনি আমার কাছে জানতে চাচ্ছেন কেন? অভিযোগকারী কে এই আমজাদ হোসেন। আপনি তাকে চিনেন? তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। না হয় তার নাম্বার দেন, তারপর আপনার সাথে কথা বলব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে তো অনেক সাংবাদিক আছে কেউ তো এই অভিযোগকে পাত্তা দেয়নি। আপনি কেন দিচ্ছেন। আপনি কি টাকা খেয়ে তার কাছে বায়েস্ট হয়েছেন। তাঁর এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইলেও তিনি কোন কথা বলার বা শুনার সুযোগ দেননি।

বরং ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, আপনি একজন যুগ্ন সচিবের সাথে কথা বলছেন। তাছাড়া আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার কথা বলার সাহস হয় কি করে? এ সময় দপ্তরে থাকা চসিকের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে অশালীন আচরণ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চসিকের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মেয়র রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

জনপ্রিয়