
চট্টগ্রামের আনোয়ারার সরেঙ্গা ঘাট থেকে ১৩ মাঝিমাল্লা নিয়ে মা জননী নামে একটি ফিশিং ট্রলার গত পাঁচদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ রয়েছে। এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে আনোয়ারার উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ফিশিং ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে মাছ ধরার জন্য রওনা দেয় ট্রলারটি। এরপর থেকে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নৌ-পুলিশকে অবিহিত করা হয়েছে বলে জানান ট্রলারের মালিক মো. নিজাম উদ্দিন ও ওবাদুল হক মুন্না।
ট্রলার মালিক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে সরেঙ্গা ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য ১৩ মাঝিমাল্লা নিয়ে আমাদের মালিকানাধীন মা জননী ফিশিং ট্রলারটি রওনা হয়। ট্রলারটি মাঝি ছিলেন কালু মাঝি। এছাড়া আব্দুল মান্নান, আলী হোসেন, জালাল, দেলোয়ার, রায়হানসহ আরও ১২ জন রয়েছেন ট্রলারে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়।
ট্রলারটির আরেক মালিক ওবাইদুল হক মুন্না বলেন, ট্রলার রওনা দেওয়ার সময় ট্রলারে ১৫ দিনের খাবার দেওয়া হয়। বুধবার রাতে রওনা দেওয়ার পর শুক্রবার তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন তারা আমাদের জানিয়েছিলেন ট্রলারের ইঞ্জিনের সমস্যা হয়েছে, ট্রলার চলছে না। তারা এখন পানিতে ভাসছে। তখন তারা সেন্টমার্টিনের বাইরে ও টেকনাফের কাছাকাছি ৩০ ভিউ পানিতে (জেলেদের নিজস্ব ভাষা) নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থান করছিলেন বলে জানান। তখনই তাদের উদ্দেশ্যে আমরা আরেকটি ট্রলার পাঠাই। ট্রলারটি তিনদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের খোঁজ পাইনি। বিষয়টি আমরা নৌ-পুলিশকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নৌ-পুলিশের কর্তব্যরত অফিসার মো. ফারুক বলেন, ১৩ মাঝিমাল্লা নিয়ে নিখোঁজ ফিশিং ট্রলারের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করে যাচ্ছি। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঈশান/সুপ/মউ