বৃহস্পতিবার- ২৭ মার্চ, ২০২৫

বাংলাদেশ ইস্যুতে অবস্থান বদলায়নি জাতিসংঘ

বাংলাদেশ ইস্যুতে অবস্থান বদলায়নি জাতিসংঘ
print news

বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অবস্থান বদলায়নি জাতিসংঘ।  আগের মতোই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যা বলেছেন নির্বাচনের পর সেটিও পরিবর্তন করেনি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব মন্তব্য করেন।

মূলত টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে আবারও ক্ষমতা গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানোর মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব কী মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জাল ভোটের নির্বাচনকে অবজ্ঞা করেননি? মহাসচিবের এমন চিঠি অগণতান্ত্রিক প্রকৃতির নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের পূর্বের অবস্থান এবং নির্বাচন নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার যে বিবৃতি দিয়েছেন তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা জানতে চান এক সাংবাদিক?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, না। তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেমনটা বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা পুননির্বাচিত হলে মহাসচিব (চিঠি) পাঠিয়ে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, এই মঞ্চ থেকে আমরা অতীতে যা বলেছি এবং মানবাধিকার হাইকমিশনার যা বলেছেন, তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, আপনি জানেন- বাংলাদেশ ২০১৭ সাল থেকে প্রায় সাত বছর ধরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। প্রত্যাবাসনে অগ্রগতির অভাব তাদেরকে নানা সংক্রমণের দিকে পরিচালিত করছে এবং তারা ক্রমশ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

অন্যদিকে মানবিক তহবিল, আন্তর্জাতিক… মানবিক সহায়তা সম্পর্কিত মনোযোগ, সবকিছু সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের পরিকল্পনা কী?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এই মুখপাত্র বলেন, প্রথমত, কাউকে কখনও প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়। কোনও শরণার্থীকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন করা উচিত নয়। এটি এমন পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় হওয়া দরকার যেখানে তাদের মর্যাদা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকবে।

তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি বর্তমানে (প্রত্যাবাসনের জন্য) দরকারি প্রয়োজনীয়তা পূরণ করছে না। যেসব সম্প্রদায় উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তা দিয়েছে, তাদের জন্য বিশ্বব্যাপী সংহতি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। যেমন কক্সবাজারের সম্প্রদায়, মহাসচিব এটি পরিদর্শন করেছেন।

স্টিফেন ডুজারিক বলেন, শরণার্থীদের আমাদের সংহতি প্রয়োজন এবং আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়গুলোরও আমাদের সংহতি প্রয়োজন। এবং এসব কিছুর জন্যই আমাদের তহবিল আরও বৃদ্ধি করা দরকার।

ঈশান/খম/মউ

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page