
বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়-এমন মানুষও সরকারের ভেতরে আছে। যারা ভেতরে ভেতরে সরকার পতনে নানা ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। দেশ ও জাতির স্বার্থে অবিলম্বে এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। সরকারকে স্থিতিশীল করতে প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘১৯৯৪ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধী ঘাতক গোলাম আযম প্রতিরোধ আন্দোলনে’ জীবনদানকারী শহীদদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসযজ্ঞের মহোৎসবে জড়িত দুর্বৃত্তদের কঠিন বিচার দাবি করেছেন তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অদম্য স্পৃহা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকা থমকে দিতে ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো গণবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তির পক্ষেই সম্ভব।
সংগঠনের সভাপতি আবদুল মালেক খানের সভাপতিত্বে নগরের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী, সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুন নাহার খুশি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশেক মাহমুদ মামুন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, রাজীব চন্দ, একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকী, দীপন দাশ, ইমরান হোসেন, ইলিয়াস হায়দার, মাহিয়া আল জিসা, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, কোহিনুর আকতার, রায়হান উদ্দিন, মফিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুয়েল, সুমন দাশ প্রমুখ।