শনিবার- ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

বিনাভোটে সাত বছর ধরে ‘চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ!

বিনাভোটে সাত বছর ধরে ‘চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ!

দুই বছর পর পর ভোট হওয়ার কথা চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের। কিন্তু গত সাত বছর ধরে বিনাভোটে এই সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বন্দর-পতেঙ্গা আসনের নাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের অনুসারি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। যারা এই সময়ে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে চালিয়েছেন লুটপাটও।

তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পরিবর্তনে দেশের প্রধান এ সমুদ্রবন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠনের দিকেও ‘চোখ’ গেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের।  তারা চাইছেন এই শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব।

তারা বলছেন, লুটপাটের জন্য ওই কমিটি নির্বাচন না দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএতে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সিবিএর সভাপতি মোহাম্মদ আজিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নায়েবুল ইসলাম ফটিক দুজনই সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফের ঘনিষ্ঠজন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বর্তমান সিবিএর কমিটিতে থাকা একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখানে আমাদের কমিটি নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ ছিলো না। যদি কেউ অভিযোগ করতো বা আমাদের আন-অফিশিয়ালি জানাতো, আমরা নির্বাচন নিয়ে একটা ব্যবস্থা নিতাম। তবে এটা ঠিক, আমরা নিজেরা নির্বাচনের জন্য কোনো তৎপরতা দেখায়নি। এটা যদি ভুল হয়, তাহলে আমাদেরও কিছু অবহেলা ছিলো, শ্রম দপ্তরেরও অবহেলা ছিলো।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গত ২৮ আগস্ট সিবিএ কমিটি পরিবর্তন করে নতুন নেতৃত্ব আনার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবরে একটা চিঠি পাঠিয়েছি। বিষয়টি শ্রম দপ্তরকেও জানিয়েছি। কারণ শ্রম দপ্তর ছাড়া এ বিষয়টা মিমাংসা করা সম্ভব নয়। নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত চলমান সিবিএ নেতৃবৃন্দকে বা অন্য কাউকে সিবিএ নেতৃত্ব হিসেবে গণ্য না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হয়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম বন্দরের সিবিএর নতুন নেতৃত্ব সংক্রান্ত কোনো চিঠি পেয়েছি বলে মনে হয় না। এরপরও এমন কোনো চিঠি এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখবো।’

প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে সিবিএ নির্বাচনের আয়োজন করাটা অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। এখানে অনেক জটিলতা আছে। এরপরও পট পরিবর্তনে এমন কিছু যদি প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে, তা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।

ঈশান/মখ/সুপ

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page