
ঢাকায় অনুষ্ঠিত চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এ মার্কিন প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কৃতি সন্তান রবিউল চৌধুরী সাকিব।
রবিউল চৌধুরী সাকিব হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপ চৌধুরী বাড়ির সন্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী প্রবীণ সাংবাদিক আমিন উল্লাহ বাহার চৌধুরীর পুত্র।
তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নেপলেস প্রপার্টিজ এলএলসির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ইউনাইটেড অব লাভ হোমস কেয়ার এলএলসির প্রেসিডেন্ট এবং এশিয়ান আমেরিকান বিজনেস অ্যালায়েন্সের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চারদিন ব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনে সোমবার (৭ এপৃল) সকালে রবিউল চৌধুরী সাকিব মার্কিন প্রতিনিধিদলের সাথে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) এবং মিরসরাইয়ের ন্যাশনাল ¯েপশাল ইকোনমিক জোন- এনএসইজেড পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ এপৃল) সকালে এই পরিদর্শন স¤পর্কে তিনি বলেন, কোরিয়ান ইপিজেড ও মিরসরাইয়ের ন্যাশনাল ¯েপশাল ইকোনমিক জোন দেখে আমরা মুগ্ধ। এখানে বিনিয়োগের সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, চারদিনের এ সম্মেলনে গুুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। আমরা চাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসুক।
মূলত দেশে যারা শিগগিরই শিল্প কারখানা স্থাপনে আগ্রহী তাদের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে বিডা ও বেপজা যৌথভাবে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সম্মেলন-২০২৫ এর আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা)।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৭ এপৃল থেকে ঢাকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে চলমান এই বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলনে ইতিমধ্যেই চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ভারতসহ ৫০টি দেশ থেকে ২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেছেন।
যার মধ্যে ৫৫০ জনেরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী রয়েছেন। যারা এই শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভূদৃশ্য এবং প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স¤পর্কে ¯পষ্ট ধারণা পাচ্ছেন। ১০ এপৃল বৃহস্পতিবার এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই আয়োজনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ সম্মেলন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, সম্মেলন শেষে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন কো¤পানির কাছ থেকে প্রাপ্ত বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতির তালিকা তৈরি করা হবে। পরবর্তীতে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করা হবে, যার মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিশ্রুত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত।