Skip to content

সোমবার- ১৬ জুন, ২০২৫

বুদ্ধ পূর্ণিমার মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজারো মানুষের ঢল

বুদ্ধের অহিংস বাণী অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান

বুদ্ধের অহিংস বাণী অনুসরণের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার আহবান

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সার্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। বুধবার (২২ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরের মোমিন রোড, জামাল খান, চেরাগি মোর,আন্দরকিল্লা, লালদিঘি, কেসি দে রোড, বোস ব্রাদার্স, নন্দনকানন পদক্ষিণ করে বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে শেষ হয়। এতে হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা অংশ নেন।

এর আগে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের সামনে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ ও একুশে পদকে ভূষিত গুণীজন ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও তারুণ্যের প্রতীক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক মহাসচিব ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথেরো, চট্টগ্রাম সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাপাল মহাথেরো, চট্টগ্রাম বন্দর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. দীপংকর থেরো, চেমি কপিলাবস্তু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ তদন্ত দীপংকর মহাথেরো, ভদন্ত অগ্রলংকার থেরো, হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত সাধনাজ্যোতি মহাথেরো, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জেবিএস আনন্দবোধি ভিক্ষু, আর্যমিত্র মহাথেরো, রাসেল বড়ুয়া,স্থপতি বিজয় তালুকদার, ব্যাংকার বিজয় বড়ুয়া, এডভোকেট সুজন বড়ুয়া, সঞ্চয় বড়ুয়া, এডভোকেট দীর্ঘতম বড়ুয়া, অনীল বড়ুয়া, সত্যজিৎ বড়ুয়া, ব্যাংকার সবুজ বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া, রণি বড়ুয়া, মিনটু বড়ুয়া, রুকেল বড়ুয়া ।

উদ্বোধকের বক্তব্যে ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, বিশ্ব আজ মহা সংকটে ও অশান্তিতে। সমগ্র বিশ্ব যেন এক হাহাকারময়। অশান্ত বিশ্বে একমাত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব মহা কারণিক গৌতম বুদ্ধের অমৃত মৈত্রীবাণী অনুসরণের মধ্যে দিয়ে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক ছাত্রনেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। সমগ্র বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের অমিয় শান্তির বাণী অনুসরণের মধ্যে আহ্বান জানান। অশান্ত বিশ্ব শান্ত ও সুন্দর করার ক্ষেত্রে বুদ্ধের অহিংস বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে।

এছাড়াও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সকালে ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধের অস্থি ধাতু ও কেশধাতু প্রদর্শন, সমবেত প্রার্থনা, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান, মধ্যাহ্ন ভোজন গ্রহণ। সন্ধ্যায় বুদ্ধ কীর্ত্তন পরিবেশিত হয়।

এদিনে ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন।

ঈশান/খম/সুপ

আরও পড়ুন

No more posts to show

জনপ্রিয়

You cannot copy content of this page