মঙ্গলবার- ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভাসানচর চট্টগ্রামের, মানছে না নোয়াখালী

ভাসানচর চট্টগ্রামের, মানছে না নোয়াখালী

প্রশাসন বলছে ভাসানচর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের। কিন্তু সেটা মানতে নারাজ নোয়াখালী। তাই ‘নিরাপদ নোয়াখালী চাই’ এর সভাপতি সাইফুর রহমান রাসেলের পক্ষে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। একই নোটিশ চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসককেও পাঠানো হয়।

নোটিশে অ্যাডভোকেট নীলু বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হতেই ভাসানচর দ্বীপটি চট্টগ্রামের মানচিত্রে যুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন সন্দ্বীপের মানুষ। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সীমানা জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রাম বন্দরের ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে মুখোশ খুলে দেব

এতে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পেশাজীবীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গঠিত কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার। প্রতিবেদনে ভাসানচর দ্বীপটি সন্দ্বীপের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কমিটির প্রথম সভা হয়েছিল। সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে ভাসানচরকে সন্দ্বীপের অন্তর্গত দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা।

আরও পড়ুন :  কমিশন-স্ক্র্যাপ সব খান তবুও সাধু রেল কর্মকর্তা সাজ্জাদ

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৬-১৭ জরিপ মৌসুমে ভাসানচরে দিয়ারা জরিপ চালানো হয়। জরিপে ভাসানচরকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে নোয়াখালীর অন্তর্গত হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু সিএস ও আরএস’র মৌজা ম্যাপে জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে পেন্টাগ্রাফ করে জেগে ওঠা চরটি সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত দেখা যায়। এমতাবস্থায় চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে ফাইল পাঠান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

আরও পড়ুন :  কমিশন-স্ক্র্যাপ সব খান তবুও সাধু রেল কর্মকর্তা সাজ্জাদ

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page