শনিবার- ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, থাইল্যান্ডে ৩

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, থাইল্যান্ডে ৩

দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে। কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশসহ আশপাশের আরও চারটি দেশ। এই ভূমিকম্পে শুধু মিয়ানমারেই ১৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সামরিক জান্তা। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এছাড়া থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককসহ বিভিন্ন শহর-গ্রাম থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধসে পড়েছে বহু ভবন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৯০ জন।মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচাইয়েচাই এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে বিবিসির খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পের ঘটনায় মিয়ানমারে অন্তত ১৪৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। এখন পর্যন্ত ৭৩২ জন আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী নেপিডোতে। সেখানে অন্তত ৯৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া, মান্দালয়ে ৩০ এবং সাগায় ১৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন হ্লাইং।

আগে থেকেই গৃহযুদ্ধে পর্যুদস্ত মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত সাগাইং অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধের একটি অন্যতম ক্ষেত্র। এলাকাটি গণতন্ত্রপন্থি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর একটি শক্ত ঘাঁটি। ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক সরকারকে উৎখাত করার জন্য তারা লড়াই করছে।

গৃহযুদ্ধ আনুমানিক সাড়ে তিন মিলিয়নেরও (৩৫ লাখ) বেশি লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত করেছে। খাদ্য সংকট সেখানে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের আগে, জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, দেশটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোকের প্রায় ২০ মিলিয়ন সাহায্যের প্রয়োজন হবে এ বছর। এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হলো।

বিবিসির সাম্প্রতিক এক ডাটা প্রজেক্টে দেখা গেছে, সাগাইং এবং মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে লড়াইরত গোষ্ঠীগুলো বিচ্ছন্নিভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যার ফলে ত্রাণ ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। ওই অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, দেশটির সেনাবাহিনী এখন কেবল এক চতুর্থাংশেরও কম এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে।

অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীও দেশটিকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। স্বাধীন গণমাধ্যম কার্যত নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর সাহায্য কার্যক্রম সীমিত। আমেরিকার বৈদেশিক সাহায্য কমানো মিয়ানমারকেও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page