
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরে পালিয়ে গেছে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কয়েকজনের মৃত্যুর গুঞ্জনও শুনা যায়। তবে কারও মৃত্যুর বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি বলে জানান রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, এই ধরনের কোনো তথ্য আমি পায়নি। এদিকে সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবরের পর রাউজান পৌরসভার জলিল নগরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে নেমে আসেন সরকার বিরোধীরা। তারা আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভকারীরা বিকাল ৪টায় রাউজান পৌর সদর মুন্সিরঘাটার আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাঙচুর শুরু করে। পরে অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ সময় কিছু লোক আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর পরবর্তী অগ্নিসংযোগ এবং নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর চালায় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ভাঙচুর পরবর্তী অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়। এদিকে রাউজান পৌরসভা কার্যালয় ভাঙচুর, রাউজান পৌরসভা, গহিরায় প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বের হতে চাইলে তাদের গেইট আটকে দেওয়া হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সঙ্গে ওয়ান ব্যাংকের শাখা ও একাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বপন দাশগুপ্ত ওরফে চাল স্বপন ভারতে পালিয়ে যান। দুষ্কৃতিকারীরা তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে।