মঙ্গলবার- ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

রেলের কোটি টাকা আত্মসাত মামলা তদন্তভার পেল সিআইডি

রেলের কোটি টাকা আত্মসাত মামলা তদন্তভার পেল সিআইডি
print news

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে ভুয়া বিল-ভাউচারে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় রেলের অস্থায়ী এক পিয়নসহ তিন জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে।

চট্টগ্রাম রেলের অর্থ ও হিসাব শাখার হিসাব কর্মকর্তা সোহাগ মীর (৩৭)। গত ৩ এপ্রিল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। গত ৫ জুন মঙ্গলবার এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলে তা দেওয়া হয়নি। আদালত মামলার তদন্তভার দিয়েছে সিআইডির হাতে। সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক আবদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন রেলের অস্থায়ী পিয়ন হাবিব উল্লাহ খাঁন (৩৫), মো. সোহাগ (৩৫) ও কহিনুর আকতার (৩০)। কহিনুর আকতারের নামে আগ্রাবাদ শাখার সীমান্ত ব্যাংকে অ্যাকাউন্টে ওই বিলের টাকা লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি হাবিব উল্লাহ খাঁন রেলের অর্থ ও হিসাব শাখার অস্থায়ী পিয়ন পদে ২০১৫ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। পিয়ন হলেও আইবাস প্লাস প্লাসের আইডির গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন বিল এন্ট্রি দিতেন হাবিব। তিনি কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে সম্পূর্ণ বিল প্রস্তুত করতেন।

আরেক আসামি মো. সোহাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশন’র নাম ব্যবহার করে, কোনো ধরনের অথরাইজেশন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের ভুয়া প্রতিনিধি সেজে, সিন্ডিকেট সহযোগিতায় অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ে থেকে চেক সংগ্রহ করেন।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

এরপর অপর আসামি কহিনুর আকতারের সঙ্গে যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স করে। একইসঙ্গে ওই নারী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার সীমান্ত ব্যাংকে নতুন হিসাব খুলেন। পরে তিন জনের যোগসাজশে জালিয়াতি ও ভুয়া ভাউচারে ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার ঠিকাদারি বিল আত্মসাৎ করেন।

‘দ্যা কসমোপলিটন কর্পোরেশন’র স্বত্বাধিকারী নাবিল আহসান বলেন, কাজের প্রকৃত বিলটি নকল করে ভুয়া ডকুমেন্টস তৈরির পর চেক গ্রহণ ও টাকা উত্তোলন করা হয়। বিষয়টি আমিই প্রথমে রেলের হিসাব বিভাগ কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি।’

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে আগুনে পুড়েছে ৯ বসতঘর, দু‘জনের প্রাণহানী

মামলার বাদি রেলের অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সোহাগ মীর বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

এর আগে ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি হিসাব কর্মকর্তা মামুন হোসেন, হিসাবরক্ষক শিমুল বেগম, অডিটর (ডিএফএ) পবন কুমার পালিত, হিসাব কর্মকর্তা (প্রশাসন) মো. আবু নাছের, হিসাবরক্ষক (প্রশাসন ও সংস্থাপন) সৈয়দ সাইফুর রহমান, জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম এবং অফিস সহায়ক মাকসুদুর রহমানকে সাময়িক বহিষ্কার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show
error: Content is protected !!