![শীতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে চট্টগ্রামের যে মহাসড়ক... 1 print news](https://dainikishan.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
শীত মৌসুম এলে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে। অপরদিকে লবণ বোঝাই গাড়ির নিঃসৃত পানিতে পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। দুইয়ে মিলে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে এমন একটি মহাসড়ক ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক’। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রাণহানী। পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। এরপরও কার্যকর ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এমন অভিযোগ করেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা। তিনি বলেন, শীতের সময় ভ্রমণপিপাসু মানুষের ঢল নামে কক্সবাজারে। আর সেখানে যাতায়াতের একটি মাত্রই মাধ্যম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। অপরদিকে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকযোগে এ সড়ক দিয়ে নেয়া হয় লবণ। বিশেষ করে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলাচল করে এসব গাড়ি।
তিনি বলেন, লবণবাহী গাড়ি নৌপথে চলাচলের নিয়ম রয়েছে এবং সড়কপথে চললেও গাড়িতে জিইওট্যাক্স (মোটা ত্রিপল) ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে সেসব গাড়ি থেকে নিঃসৃত পানিতে ভয়ংকর হয়ে উঠে সড়ক। এতে বছরের পর বছর ঘটছে প্রাণহানী। পাশাপাশি নিয়মিত যাতায়াত করা পর্যটকবাহী যানবাহনও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকে। তবে নিয়ম না মেনে যেসব লবণবাহী গাড়ি চলাচল করে সেগুলো পাওয়া মাত্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি শীত মৌসুমে এ মহাসড়কের লোহাগাড়া অংশে ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণহানী থেকে শুরু করে পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। সম্প্রতি শীতের শুরুতে মহাসড়কের উপজেলার চুনতি হাজিরাস্তায় ভোরে একটি পিকনিকের বাস পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে কমপক্ষে ১৪ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া বিভিন্নস্থানে আরও বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম রুবেল বলেন, এ সড়কে বেশিরভাগই রাত অথবা ভোরের দিকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আর ওইসময়ে দুরদুরান্তের পর্যটকবাহী গাড়ির সংখ্যাই বেশি থাকে।
বাসচালক দিদারুল আলম বলেন, শীত মৌসুমে এ সড়কে রাতে গাড়ি চালানো খুবই ঝুকিপূর্ণ। কারণ কুয়াশা এবং লবণবাহী গাড়ি থেকে ঝরে পড়া পানি দুইয়েমিলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এরফলে ব্রেক ধরতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার অনেক গাড়িই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।