রবিবার- ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাবেক প্যানেল মেয়র লিটনের সিগারেটের আরও ২ গোডাউনে অভিযান

সাবেক প্যানেল মেয়র লিটনের আরও ২ সিগারেটের গোডাউনে অভিযান

কাস্টমস, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেটের অভিযানের পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক প্যানেল মেয়র ও ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলাধারা’ এর প্রকাশক আবদুস সবুর লিটনের আরও দুটি গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে নগরীর হালিশহর থানার বউবাজার আমতল এবং ধুপাপাড়া এলাকায় থাকা দুটি গোডাউনে পৃথক অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানেও বিপুল পরিমাণে বিদেশি সিগারেটের প্যাকেট, নকল ব্যান্ড রোল ও অবৈধ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  কাস্টমসের দুই কর্মকর্তার ওপর হামলা, নেপথ্যে কারা?

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ তফছির উদ্দিন ভূঁঞা।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের যৌথ একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার  অভিযানের প্রেক্ষিতে শুক্রবারও তার দুটি পৃথক গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে আমরা বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেটের প্যাকেট, নকল ব্যান্ড রোল ও নিষিদ্ধ বিভিন্ন জিনিস পেয়েছি। সেগুলো পর্যালোচনার কাজ চলছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৯০ লাখ টাকার সিগারেটভর্তি লাগেজ

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) হালিশহর থানার রমনা আবাসিকের মসজিদ গলির জনৈক ফরিদের বাসায় অভিযান চালায় চট্টগ্রাম কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযানে ওই বাসা থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার পিস সিগারেট স্ট্যাম্প, ১৪৮টি সাদা বড় রোল, ৪২৫টি সাদা ছোট রোল, ১২৬টি কালো বড় রোল ও ১ হাজার ৩৭টি কালো ছোট রোল জব্দ করা হয়।

কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের যোগসাজশে বিদেশ থেকে অবৈধ ব্যান্ডরোল আমদানির কারণে আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটন। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো ও তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোসহ কয়েকটি সিগারেট কারখানার মালিক তিনি।

আরও পড়ুন :  লটারিতে সিএমপির ১৫ থানার ওসির চেয়ার বদল

এসব কারখানায় প্রস্তুত করা সিগারেটে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো হতো। ভ্যাট গোয়েন্দাদের একটি টিম তদন্ত করে এসবের সত্যতা পেয়েছিলেন কয়েক বছর আগেই। তবে নওফেলের প্রভাবের কারণে শেষমেষ লিটন ওরফে বিড়ি লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি এনবিআর।

ঈশান/খম/সুম

এ সংক্রান্ত নিউজ আরও পড়ুন :

সাবেক প্যানেল মেয়র লিটনের বাসায় তৈরী হচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট

বিদেশি সিগারেটের হোলসেল মার্কেট চট্টগ্রাম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page