
সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহৎ জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানে দলে দলে যোগ দিয়েছেন সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ। নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক সুদৃঢ় করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দান ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান, চুরি, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধ টিম এবং নৌ টহল থাকবে । রেলওয়ে স্টেশনেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ইজতেমা ময়দান সিসিটিভির আওতায় থাকবে। ড্রোন এবং ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানের প্রবেশপথসমূহে আর্চওয়ে স্থাপন এবং হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এবং র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ইজতেমাস্থলে ভিআইপিদের যাতায়াত এবং বিদেশী মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইজতেমা নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে।
এদিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো ঝুঁকি নেই। দুই পক্ষের অন্তঃকোন্দল ছাড়া আপাতত অন্য কোনো ঝুঁকি আমরা দেখছি না।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র্যাব ফোর্সেস অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ৩ দিন করে তিন ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় ধাপে ৩-৫ ফেব্রুয়ারি এবং তৃতীয় ধাপে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমা উপলক্ষে এবারও বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের অগ্নি নিরাপত্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।