
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব পেরোনোর পর সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৮ রানে হারল বাংলাদেশ।
টাইগারদের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আজ দুই অজি ওপেনার শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছেন। টাইগার বোলারদের সামলে দ্রুত রান তুলেছেন ওয়ার্নার এবং হেড। এদুজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারেই অজিদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ৫৯ রান।
দুই ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান তোলার পরই বৃষ্টি নামলে আম্পায়ার খেলা বন্ধ করেন। এদিকে বৃষ্টির পর সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলেই রিশাদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন হেড। এরপর ক্রিজে ওয়ার্নারের সঙ্গী হয়েছেন মিচেল মার্শ। তবে মার্শকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে দেননি রিশাদ।
নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মার্শকেও সাজঘরের পথ দেখান রিশাদ। তরুণ এই লেগ স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে আউট হন অজি অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন ম্যাক্সওয়েল। মাঠে নেমেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছেন ম্যাক্সওয়েলও, ফলে দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে জয়ের পথে এগিয়ে যায় অজিরা।
এদিকে দ্বাদশ ওভারের খেলা চলমান থাকা অবস্থায় অজিদের দলীয় রান যখন ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তখন আবার বৃষ্টি নামলে ফের বন্ধ হয় খেলা। এরপর আর খেলা শুরু করা যায়নি। বৃষ্টি আইনে অজিরা ২৮ রানে এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে মার্শের দল।
এর আগে নর্থ সাউন্ডে লাল-সবুজের দলের বিপক্ষে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নাজমুল শান্তর দল, শুরুতেই মিচেল স্টার্কের বলে বিদায় নেন তানজিদ তামিম।
এরপর আরেক ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। তবে এ দুজনের বিদায়ের পর বলার মত ইনিংস খেলতে পেরেছেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। তাঁর ৪০ রানের ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ।