সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ইন্দোনেশিয়ার অনারারি কনসাল সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের অনন্য প্রশংসায় ইন্দোনেশিয়া সরকার। গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশিতে অনারারি কনসাল কার্যালয়ে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে ইন্দোনেশিয়া সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ প্রশংসাপদক হস্তান্তর করেন।
‘পদক হস্তান্তর’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইন্দোনেশিয়া থেকে আগত সেদেশের সরকারের বিশেষ দূত ডাওরানা আতিকাশ ডিউই ও ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়া দুতাবাসের পলিটিক্যাল এফেয়ার্স প্রধান নূর হামামু রিজকী প্রশংসা পদক হস্তান্তর করে সুফি মোহাম্মদ মিজানের প্রশংসা করেন।
ইন্দোনেশিয়া সরকারের বিশেষ দূত ডাওরানা আতিকাশ ডিউই বলেন, আমি আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশংসা করি ও পিএইচপি পরিবারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন অনারারি কনসাল সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও পাষ্পরিক সৌহার্দপূর্ণ করে রেখেছেন।
পদক গ্রহণ করে সুফি মোহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ অত্যন্ত বন্ধুদেশ ও দু’দেশের সর্ম্পকও গভীর। বিশ্বের যে কয়টি দেশ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। বাংলাদেশে ইন্দোনেশিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে আমি সেদেশের রাষ্ট্রপতিসহ তাদের সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
সুফি মিজান বলেন, আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বদাই সচেষ্ট। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকল ধর্মের মানুষ মিলে মিশে থাকে। বাংলাদেশে প্রতিহিংসা, সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান নেই। তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের চরিত্রকে গঠন করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়া সরকারকে পদক প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ। উভয় দেশ ভবিষ্যতেও সহযোগিতার এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। এই অঞ্চলের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে দুই দেশ একসাথে কাজ করবে।