
এ যুগের প্রজন্মকে বলা হয় নেট জেনারেশন বা নেটিজেন। এরা দিনের বেশিরভাগ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। বলা যায় এদের ফোন ব্যবহার আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। আসক্তি কাটাতে এদের কোনো উদ্যোগই নেই।
কেননা, স্মার্ট গ্যাজেটের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। কিন্তু ডিসপ্লেযুক্ত ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। জানুন কীভাবে স্মার্টফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসের আসক্তি কাটাবেন।
সময় বেঁধে নিন:
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কতটা সময় কিসে ব্যয় করবেন, তা নিজেকেই ভাগ করে নিতে হবে। এককথায় ল্যাপটপ বা ফোনের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে বলা সহজ হলেও কাজে করা কঠিন। তাই নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে, কত ক্ষণ ফোন ঘাঁটবেন আর কত ক্ষণ নিজেকে সময় দেবেন।
প্রযুক্তির ব্যবহার কম করুন:
কাজ, পড়াশোনা, বিনোদন— সব কিছুর জন্যই এখন ফোন বা ল্যাপটপের উপর ভরসা করতে হয়। তা বাদে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়, বাড়ির কোনো একটি অংশে এই সব যন্ত্রের ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দিন। প্রথম প্রথম ১৫ মিনিট, তার পর আধ ঘণ্টা করে ফোন ছাড়া থাকার অভ্যাস করুন।
বিরতি নিতে হবে :
ঘড়িতে বা ফোনে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস করুন। তাতে চোখেরও আরাম হবে এবং যন্ত্রনির্ভর হওয়ার প্রবণতাও কমবে।