ইরানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে শনিবারের হামলার বদলা নিতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে বলে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে তাসনিম নিউজ। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থাটি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব দেয়ার অধিকার ইরান রাখে।
ওই সূত্র তাসনিম নিউজকে আরও জানায়, ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব পাবে ইসরায়েল। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইরান বলেছে, সরকার দেশকে রক্ষার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নিজেকে রক্ষার অধিকার তার আছে। জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদও এই অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে বলে ইরান উল্লেখ করেছে।
গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইরানের অসংখ্য সামরিক ক্ষেত্রে হামলার দাবি করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শনিবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানায় জেরুজালেম পোস্ট (জেপি)।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, বড় তিনটি ধাপে এ হামলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালানো হয়। ওই সময় ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান লোকজন। তেহরান ঘিরে ইসরায়েলের সামরিক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল করায় এসব বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এদিকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমে মোহাজেরানি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে তাতে ইরানের জাতীয় অহংকার সমুন্নত রয়েছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় রাজধানী তেহরান ঘিরে থাকা সামরিক স্থাপনা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ‘সীমিত ক্ষতি’ হয়েছে। এ হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ইরানের জনগণ তাদের দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি এবং আস্থার জন্য গর্বিত। মোহাজেরানি বলেন, ইরান হচ্ছে একটি শক্তিশালী দেশ এবং ইসরাইলের অপতৎপরতা ইরানের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না। ইসরাইলি আগ্রাসনের পর গতরাতেই ইরানের জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান মোহাজেরানি।