শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আটদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের আটটি কারখানা।
বৃহ¯পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে এসব কারখানার ৩৫ হাজার শ্রমিক ও চার হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজে ফিরেছেন। ফলে দীর্ঘদিনের নীরবতা কাটিয়ে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ইপিজেড এলাকায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাজের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজে ফিরেছেন। তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইপিজেড এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শিল্প-৩ পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্যাসিফিকের আটটি কারখানায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা নির্বিঘ্নে কাজ শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রুটিন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, প্যাসিফিক জিন্স দেশের একটি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এখানে অস্থিরতা দেখা দিলে তা শুধু ইপিজেড নয়, পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিপমেন্ট, পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি ও কর্মসংস্থান- সবকিছুই জড়িত। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি দ্রুততম সময়ে কারখানা খুলে দেওয়ার।
গত ১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। ১৬ অক্টোবর শ্রমিকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষের পর মালিকপক্ষ আটটি কারখানায় অনির্দিষ্টকালের ছুটি ঘোষণা করে। পরদিনও শ্রমিকরা বিক্ষোভ চালান।
বন্ধ ঘোষিত কারখানাগুলো হলো- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স-২০০০।
You cannot copy content of this page