আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর প্রায় দুই দশক পার করলেন সাকিব আল হাসান। এখনো খেলছেন। বল হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করেছেন প্রায় সময়। কিন্তু কখনও বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়নি। সেই সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে দ্বিতীয় বারের দেওয়া পরীক্ষায় ফেল করেছেন সাকিব আল হাসান। গত ২১ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে দেওয়া পরীক্ষাও উতরাতে পারেননি। ফলে আগামী এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সাকিব। তবে ব্যাটার হিসেবে তিনি খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন সাকিব। সেখানেই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়ারেরা। যার ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষণ শেষে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করে।
এই ঘোষণার ফলে আইসিসি সদস্য দেশগুলোর আয়োজিত এবং অনুমোদিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বোলিং করার বৈধতা হারিয়েছিলেন সাকিব। এরপর আইসিসি অনুমোদিত বোলিং পরীক্ষাগারে পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি সাকিব। গত মাসে ভারতের চেন্নাইতে শ্রী রামচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্স এ সাকিবের বোলিং অ্যাকশনের আরেকটি পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন হয়। এখানেও সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি পাওয়া যায়। ফলে সাকিব বোলিং করা বৈধতা হারিয়েছেন।
এর ফলে ইসিবি’র দেয়া নিষেধাজ্ঞাই বহাল থাকছে। পরপর দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় আগামী এক বছর আর কোনো ধরণের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না সাকিব। এই সময় পর আবার পরীক্ষা দিয়ে তাকে সফল হতে হবে, তবেই আবার বল করতে পারবেন। তবে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক কোন সংস্করণেই ব্যাটার হিসেবে খেলতে তার বাধা নেই, জানিয়েছে বিসিবি।
You cannot copy content of this page