রবিবার- ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

আমদানি করা গম নিয়ে মার্কিন জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

আমদানি করা গম নিয়ে মার্কিন জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে আমদানি করা গম নিয়ে একটি মার্কিন জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এমভি নর্স স্ট্রাইড জাহাজটি ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো সরকার টু সরকার (জিটুজি) ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি কার্যক্রম শুরু করছে। এই চুক্তির আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৬ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ডেকেছে বিএনপি

যার প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি নর্স স্ট্রাইড জাহাজটি শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙরে পৌঁছেছে। সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদফতর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের (ইউএসডিএ) মধ্যে স¤পাদিত চুক্তি অনুযায়ী এই গম আমদানি কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে।

জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩৪ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৮৯ মেট্রিক টন গম মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি গমের চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ১১ লাখ টন গম। বাকিটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ তার মোট গম আমদানির অর্ধেকের বেশি রাশিয়া থেকে এনে থাকে।

আরও পড়ুন :  পাউবো চট্টগ্রামের এসই জুলফিকারের ঘুষের টাকা পাচার হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়!

গত অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ৫৪ শতাংশ গম আনা হয়। এরপরই রয়েছে ইউক্রেন, যেখান থেকে ১৪ শতাংশ গম আমদানি করা হয়। এছাড়া ভারত থেকেও গম আমদানি করা হয়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর প্রেক্ষাপটে দেশটি থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনালের কাছ থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে এ গম কেনা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২ মার্কিন ডলার। মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব গত ২৩ জুলাই ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি অনুমোদন করে।

আরও পড়ুন :  কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা স্থগিত

তবে চুক্তিতে ১০ শতাংশ কমবেশির শর্ত থাকায় মোট ২ লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন গম আসবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গম রফতানিকারক সমিতির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এ অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭ লাখ টন গম আমদানি করবে।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানিতে প্রতি টনে ২৫ থেকে ৩০ ডলার বেশি খরচ হচ্ছে।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page