বৃহস্পতিবার- ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঋণখেলাপিদের জন্য আসছে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

“ঋণখেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করলে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। কারণ ঋণখেলাপিদের অনেকেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে ঘুরে বেড়ান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।”

ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব যেতে পারে সরকারের কাছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দু:সংবাদ হচ্ছে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা।  এছাড়া খেলাপিমুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হতে পারে।

সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতির বিবৃতি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র মতে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির এক বৈঠকে খেলাপি ঋণের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে এবারের মুদ্রানীতির বিবৃতিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়গুলো যুক্ত করেছে।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

এতে ঋণ খেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য আইন করতে সরকারের কাছে চিঠি দিতে বলা হয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করলে খেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। কারণ ঋণখেলাপিদের অনেকেই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে ঘুরে বেড়ান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন।

ঋণখেলাপি হওয়ার পর তা থেকে মুক্ত হওয়ার পর কমপক্ষে ৫ বছর পর্যন্ত আর্থিক খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে যাতে থাকতে না পারেন সে বিধান করার কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  চামড়া যাদের শক্ত সেসব মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

এটি হলে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদের যেসব পরিচালক বা সদস্য ঋণখেলাপি হবেন তারা খেলাপি ঋণ পরিশোধ করলেও ওইসব গুরুত্বপূর্ণ পদে ৫ বছর থাকতে পারবেন না। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালক বা উদ্যোক্তাদের ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমবে।

মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। এটি করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের উচ্চ খেলাপি ঋণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ। এসব খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে। ফলে ইচ্ছাকৃত খেলাপিরা এখন আর পাড় পাবেন না।

একই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য, তহবিলের অপব্যবহার বা অবৈধভাবে বন্ধক রাখা সম্পদ হস্তান্তর-এসব অপরাধের বিষয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তালিকা করে ওই তালিকা ধরে তাদেরকে নানা আর্থিক খাতের সুবিধা দিতে বাধা দেওয়া হবে।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন