বৃহস্পতিবার- ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গতি ফিরছে ইন্টারনেটের

বকেয়া পরিশোধ না করায় দেশের ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির ব্যান্ডউইথ ডাউন করে দিয়েছির সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও ২২১ কোটি টাকা বকেয়ার মধ্যে কিছু টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকরা স্বাভাবিক গতি ফিরে পাচ্ছেন। বাকি বিল পুরোপুরি পরিশোধ করলে আজ কালের মধ্যেই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মির্জা কামাল আহম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আইআইজিগুলো তাদের বকেয়া দিতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই তাদের ব্যান্ডইউডথ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। রোববার-সোমবারের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

আরও পড়ুন :  আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র শনাক্ত করা যাচ্ছে না

উল্লেখ্য, বকেয়া আদায়ে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিতে শুরু করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি লিমিটেড ( বিএসসিসিএল)। এ কারণে গ্রাহকরা ইন্টারনেটের গতি নিয়ে সমস্যায় পড়েন বলে জানাচ্ছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা (আইএসপি)।

এতদিন বকেয়া আদায় করতে কষ্ট হচ্ছিল জানিয়ে মির্জা কামাল আহম্মদ জানান, ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেও সাত কোটি টাকা পেয়েছেন। ব্যাংক খুললে বাকি টাকাও পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

তিনি বলেন, তাদের কাছে (আইআইজি) দীর্ঘদিনের বকেয়া জমে আছে। অনেক দেনদরবারের পরও তারা টাকা দিচ্ছিল না। পরে সরকারের ওপর মহলের নির্দেশে আমরা এটা (ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়া) করেছিলাম।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

তিনি জানান, একেকজনের কাছে একেক রকম বকেয়া থাকায় সেই অনুযায়ী তাদের ব্যান্ডউইডথ কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে কারোরই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।

মির্জা কামাল বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান গতকালই আংশিক বকেয়া দিয়েছে। আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, পুরোটাই দিয়ে দেবে। তাদেরটা আমরা ঠিক করে দিয়েছি। কারণ, সাধারণ গ্রাহক যারা, তারা তো কষ্ট পাবে। শুক্রবার রাত থেকেই ২০ শতাংশের বেশি রিস্টোর হয়ে গেছে। বাকিটাও দুই-একদিনের মধ্যে রিস্টোর হয়ে যাবে।

ইন্টারনেট ট্রাফিকের জন্য আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে আইআইজি কোম্পানিগুলো। দেশ ও বাকি বিশ্বের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ এই গেটওয়ে দিয়েই যায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যান্ডইউডথ সরবরাহ করে বিএসসিসিএল।

আরও পড়ুন :  চামড়া যাদের শক্ত সেসব মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

তাদের মাধ্যমে দেশের ৫০ শতাংশের মতো ব্যান্ডউইডথ আসছে। বাকিটা আসছে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) সেবাদাতার মাধ্যমে। সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইডথ কমানো হলেও আইটিসিগুলোর সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছ থেকে লাইসেন্সধারী ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

গত ২৬ অক্টোবর মহাখালীর খাজা টাওয়ার পুড়ে গিয়ে আটটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের সেবা বিঘ্ন হওয়ার পরও সারা দেশের গ্রাহকেরা ইন্টারনেট নিয়ে বিপত্তিতে পড়ে। তা স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগে।

আরও পড়ুন