সোমবার- ২০ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা ১০ প্রতিষ্ঠানের কারণে!

ট্টগ্রাম মহানগরীর ২৯৭টি জায়গায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতার অন্যতম ১০ কারণ চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে রয়েছে ওয়াসার পাইপ, গ্যাসের পাইপ, টিঅ্যান্ডটির পাইপ, নিচু কালভার্ট ও পিডিবির লাইন কাভার বক্স। এ ছাড়া পরিত্যক্ত ড্রেন, ড্রেনের ওপর ডাস্টবিন, ডাস্টবিনের ভাঙা স্লাব, ব্রিজের পাশে ডাস্টবিন ও খালনালা বন্ধ করে অবৈধভাবে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ।

চউক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চউকের অধীনে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এর তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন :  চট্টগ্রামে ১৯৪ পোশাক কারখানা ভয়াবহ অগ্নিঝুঁকিতে

তিনি বলেন, ‘চউকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আমি প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি শহরের কোন জায়গায়, কী কারণে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তা খুঁজে বের করার জন্য। ওই তালিকা পাওয়ার পর বুঝতে পেরেছি কোন সংস্থার কারণে কোন কোন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।

ওই তালিকাটি নিয়ে সংস্থাপ্রধানদের সঙ্গে আমি জলাবদ্ধতা নিরসনে কথা বলেছি। এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবু সাকলায়েন ও চসিক মেয়রের সঙ্গে দেখা করে তাদের হাতে ওই জায়গাগুলার তালিকা তুলে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন :  বাড়ি-গাড়ি, জাহাজ-লরি সবই আছে যমুনা অয়েলের গেজার জয়নালের!

তালিকার তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ২৯৭টি জায়গার মধ্যে ওয়াসার ৭৫টি পাইপলাইন, কর্ণফুলী গ্যাসের ৫৬টি ও টিঅ্যান্ডটির ১৮টি পাইপলাইনের কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া আবর্জনায় ভর্তি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৪৮টি ড্রেন খুঁজে পেয়েছে চউক। এর মধ্যে নিচু কালভার্ট রয়েছে ৮টি।

আর জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম ১০টি কারণ হিসেবে রয়েছে পিডিবির লাইন কাভার বক্স। এ ছাড়া পরিত্যক্ত ড্রেন, ড্রেনের ওপর ডাস্টবিন, ডাস্টবিনের ভাঙা স্লাব, ব্রিজের পাশে ডাস্টবিন ও খালনালা বন্ধ করে অবৈধভাবে চলাচলের রাস্তা নির্মাণ।

আরও পড়ুন :  ওমান থেকে কফিন বন্দি হয়ে ফিরল আট প্রবাসী

এ বিষয়ে চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চউক চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাই। চউক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে কথা বলে ওই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চসিকের যে করণীয় তা আমরা করব। আমাদের সবার লক্ষ্য একই জনগণকে সেবা দেওয়া। নগরবাসী ভালো থাকলেই আমরা ভালো থাকব।’

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page