শুক্রবার- ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে মধ্যরাতে জেলেপল্লী পুড়ে ছাই

চট্টগ্রামে মধ্যরাতে জেলেপল্লী পুড়ে ছাই

ধ্যরাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড এলাকার আউটার রিং রোড সংলগ্ন আকমল আলী ঘাটের জেলেপল্লী। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় ছয় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রবিবার (১৭ নভেম্বর) ভোর  ৬ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ২০টি বসতঘর ও ১৭টি বিভিন্ন পণ্যের দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। এছাড়া জেলেদের মাছ ধরার জালও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে তাদের কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই তাদের সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব।

আরও পড়ুন :  আগস্টে লুট হওয়া অস্ত্র শনাক্ত করা যাচ্ছে না

শনিবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে জেলেপল্লীর একটি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি জানান, শনিবার দিনগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ততক্ষণে পুরো জেলেপল্লী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন :  চামড়া যাদের শক্ত সেসব মেয়েদের জন্য এই রঙিন জীবন : বর্ষা

তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে একটি তেলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। সেখানে বেশকিছু তেল ও জালের দোকান ছিল। তেল থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার সঠিক কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আউটার রিং রোডের আকমল আলী প্রান্তে সাগরে মাছ ধরার জাল রাখার কয়েকটি টিনের ঘর রয়েছে। সেখানেই জেলেরা মাছ ধরা শেষে জাল রাখেন। ওই ঘরগুলোতে হঠাৎ আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য ঘরগুলোতেও। আগুনের মাত্রা অনেক ভয়াবহ ছিল। আগুনে জেলেপল্লীর ২০টি বসত ঘরের সবকটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জালসহ সব হারিয়ে অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন :  আমানত থেকে কর্মীদের বেতন দিচ্ছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক!

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন