
চট্টগ্রামে রেলওয়ের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা রহস্যজনক মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওয়ার্কশপের পুরাতন স্ক্র্যাপ মালামালে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ স্টেশনের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের সূত্রপাত স¤পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের তথ্যমতে, স্ক্র্যাপ মালামালগুলো নিলামে বিক্রি হওয়া। সেগুলো কেটে কেটে টুকরো করা হচ্ছে। গ্যাস হোল্ডার দিয়ে কাটার ফলে সেখানে আগুনের ফুলকি ও মালামাল তাপে গরম হয়ে সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পরে আগুন দেখে আরএনবি ও আনসার সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাহাড়তলীর বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কারখানা) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, ওয়ার্কশপের পুরাতন স্ক্র্যাপ মালামালে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত স¤পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।
এদিকে স্ক্র্যাপ মালামালের স্তুপে আগুন লাগা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ। কারণ ওখানে বর্তমানে কোনো কাজ চলমান নেই। তাছাড়া বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেও আগুন লাগার সুযোগ নেই। বরং স্ক্র্যাপ চুরি ও পাচার নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।
রেলওয়ের একটি একটি সূত্র বলছে, বর্তমানে ওয়ার্কশপে শুধু আরএনবি ও কিছু আনসার সদস্য ডিউটিতে আছে। কোনো সিভিল ওয়ার্কার নেই। এই সময়ে সেখানে আগুন লাগার সুযোগ খুবই কম। কেউ হয়তো পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এই অগ্নিকান্ড রহস্যজনক।
এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন কিভাবে লেগেছে জানি না। আগুন লাগার আধাঘন্টার মধ্যে নিভে গেছে। আমাদের ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। তবুও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।