
চট্টগ্রামে সেনা-পুলিশে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে ভারতীয় সহকারি হাইকমিশন কার্যালয়। নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কের দুই পাশে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে ১০০ গজের মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর আটটি টিম হাইকমিশন ও ওই এলাকা সংলগ্ন জাকির হোসেন রোডে অবস্থান নেয়। পাশাপাশি পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন। সড়কে ব্যারিকেডের কারণে জাকির হোসেন রোডসহ আশপাশের এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কাউকে ওই এলাকায় জটলাও করতে দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরের পর সহকারি হাইকমিশনার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় তারা সহকারি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে। সহকারি হাইকমিশনারের বাসভবনে পাথর ছুড়ে বিক্ষোভকারীরা।
এ ঘটনায় রাত দেড়টার দিকে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। এসময় ১২ জনকে আটক করা হয়। এরপর ভোর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সহকারি হাই কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার বাসভবনে ছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বাসভবন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানের ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনার বাসভবন ও কার্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশেষ বিশেষ স্থানে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, কাজীর দেউড়ি মিটিয়া টাওয়ারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সড়কের সন্দেহজনক মানুষকে তল্লাশী করছে পুলিশ। সার্বিকভাবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে চট্টগ্রামে।
প্রসঙ্গত, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হাদির মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতা নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় সহকারি হাইকমিশন ঘেরাও করার ঘোষণা দেন। রাতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের চশমা হিলের বাসভবনের একটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে তারা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। ফটিকছড়ি উপজেলার বিবিরহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিক্ষুদ্ধ জনতা।