বুধবার- ১২ মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম ওয়াসার গিরগিটি ফজলুল্লাহর দুর্নীতির তথ্য পেলো দুদক

চট্টগ্রাম ওয়াসার গিরগিটি ফজলুল্লাহর দুর্নীতির তথ্য পেলো দুদক
print news

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো মেয়াদে প্রথমে চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান ও পরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন একেএম ফজলুল্লাহ। এর আগে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার মানুষ হিসেবে চট্টগ্রাম ওয়াসায় নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।

২০০০ সালে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে গিয়ে তিনি তদবির শুরু করেন ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগের জন্য। তখন তদবিরে চেয়ারম্যানের চেয়ার না মিললেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনের এমপি হাছান মাহমুদের সুপারিশে সহজে বসে যান চেয়ারম্যানের চেয়ারে।

তখন বিএনপি-জামায়াত ঘরানার ফজলুল্লাহ গিরগিটির মতো রং বদলিয়ে আওয়ামী লীগ সেজে কীভাবে চেয়ারে বসে গেলেন তা দেখে চোখ কপালে তুলেন ওয়াসায় কর্মরতরা। এ সময় সুপারিশের বিনিময়ে হাছান মাহমুদ প্রকল্পের ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। আর চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে ক্রমশ ক্ষমতাধর হয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি শুরু করেন একেএম ফজলুল্লাহ।

এ নিয়ে প্রভাবশালী বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ এবং ওয়াসা সংশ্লিষ্ট অনেকেই নামে-বেনামে দুদকসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব পর্যায়ে নানা অভিযোগ দিলেও তদন্ত হয়নি একটিরও। এমনকি চেয়ার থেকেও সরানো সম্ভব হয়নি কারো। বরং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেন তিনি।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী দলের সাধারণ স¤পাদক আবুল কালাম। তিনি বলেন, আমরা যারা সরকারের বাইরে ভিন্ন দলে ছিলাম, গত ১৫ বছর নানাভাবে হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ওয়াসার এমডির এসব দুর্নীতি নিয়ে কোনও কথা বলতে পারিনি। সিন্ডিকেট দিয়ে ওয়াসা জিম্মি করে রেখেছিলেন এমডি একেএম ফজলুল্লাহ।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পরও এমডি হিসেবে স্বপদে বহাল ছিলেন ফজলুল্লাহ। একপর্যায়ে সেই বৈষম্যবিরোধীদের আন্দোলন কর্মসূচির চাপে গত ৩০ অক্টোবর এমডি পদ থেকে তাকে অপসারণ করে সরকার। এরপর গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো তার অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধানের প্রাথমিক পর্যায়ে বৃহ¯পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসা কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের চার সদস্যের একটি টিম। এতে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান।

অভিযান শেষে দুদকের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একেএম ফজলুল্লাহর আমলে চট্টগ্রাম ওয়াসায় কিছু অনিয়মের প্রমাণ তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ আছে। এছাড়া ফজলুল্লাহর দায়িত্ব পালনের সময় রহস্যজনক আগুনে ওয়াসার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পোড়ানো বা গায়েব করার অভিযোগও আছে।

দুদক কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ২০২০ সালে ওয়াসা ভবনের তৃতীয় তলায় একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সাজানো ছিল- এমন অভিযোগ এসেছে, যেখানে অনেকগুলো নথি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গায়েব করা হয়েছে বলা হয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছি এ বিষয়ে। ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির একটি তদন্ত প্রতিবেদন আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। এটি আমরা বিস্তারিত স্টাডি করে বলতে পারবো।

ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ওনার (একেএম ফজলুল্লাহ) শেষ ৬ মাসে যে নিয়োগ বা বদলিগুলো হয়েছে- এ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চেয়েছি। সচিব মহোদয় এগুলো দেওয়ার কথা বলেছেন। সেই রেকর্ডপত্র পেলে আমরা যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম হয়েছে কি-না জানতে পারবো।

তবে এখানকার ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ সাহেবের কাছেই একটা তথ্য পেয়েছি। সেটা হচ্ছে, একটা স্যুয়ারেজ প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্পে সাবেক এমডি সাহেবের ভাগিনা সরোয়ার জাহানের স্ত্রী পরিচালক ছিলেন। এই প্রজেক্টের যিনি পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলী আছেন, অভিযোগ ছিল জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে যারা জুনিয়র ছিল তাদেরকে পদন্নোতি দিয়ে ভাগ্নে বউকে প্রজেক্টের পরিচালক করা হয়েছে। আমরা সচিব মহোদয়ের কাছে জেষ্ঠ্যতার তালিকা চেয়েছি। এটা বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে আমরা বলতে পারব জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদন্নোতি দেওয়া হয়েছে কি-না।

এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্পের নির্মাণাধীন ট্রিটমেন্ট প্লান্টে ফাটল পাবার কথা জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল, হালিশহরে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান স্যুয়ারেজ প্রকল্পের ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানে নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে অনিয়ম অর্থাৎ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে- এ ধরনের অভিযোগ ছিল।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সরেজমিনে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পরিদর্শন করে অনেকগুলো ফাটল দেখতে পেয়েছি। এই ফাটল দেখার পরে এখানে এসেছি এবং প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলেছি। প্লান্টে ফাটলের বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা জানতে চেয়েছি। উনি বললেন, প্রকল্পের কনসাল্টেড ফার্মের সাথে কথা বলেছেন এবং ফাটল সীল করার জন্য যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হবে, সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখনো রিপোর্ট পাননি। রিপোর্টে রাসায়নিক যথাযথ পাওয়া গেলে ফাটলগুলো সিল করা হবে।

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই। এটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলতে পারবেন। তবে ফাটল দেখা গিয়েছে। এটি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের ফলে অথবা পারিপার্শ্বিক কারণেও হতে পারে।

এছাড়া অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ওয়াসায় দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন ফজলুল্লাহ। সেবার নামে মানহীন পানি সরবরাহ করে লুট করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। এমনকি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রতি বছর ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পানির সিস্টেম লস দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গত ১০ বছরের।

এদিকে অবসরে যাওয়ার পরও ওয়াসার এমডির ব্যক্তিগত সহকারী দিদারুল আলম এবং ওয়াসার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোসলেহ উদ্দিনের চুক্তিতে নিয়োগের মেয়াদ বাড়িয়েছেন এমডি। ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যান দিদারুল আলম। গত বছরের ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিত ওয়াসার বোর্ড সভায় তাকে চুক্তিতে নিয়োগের প্রস্তাব দেন এমডি ফজলুল্লাহ। দিদারকে এক বছরের জন্য অথবা নতুন কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

অপরদিকে ২০২২ সালের ৩০ জুন অবসর উত্তর ছুটিতে যান ওয়াসার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোসলেহ উদ্দিন। একই বছরের ৬ জুলাই ওয়াসার বোর্ড সভায় তাকে ছয় মাস অথবা নতুন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা-২০২০-এর ৬২ ধারায় বলা হয়েছে, অবসর গ্রহণ এবং কোনও কর্মচারীর পুনরায় নিয়োগ সরকারি চাকরি আইনের বিধানবলি দিয়ে পরিচালিত হবে।

এছাড়া ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহকে শুরু থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বেতন বৃদ্ধির আবেদন করলে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করা হয়। এছাড়া বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন ও বিশেষ ভাতাসহ মোট তিন লাখ ১৭ হাজার টাকা পান।

এরপরও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওয়াসার ৬৫তম বোর্ড সভায় অন্যতম সূচি ছিল এমডির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়। অর্থাৎ মূল বেতন এক লাখ ৮০ হাজার থেকে একলাফে দুই লাখ ৭০ হাজার বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা চান। তখন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের এই আবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বোর্ড সদস্যরা। তবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়নি। বেতন বৃদ্ধির আবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সমালোচনা শুরু হলে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।

এছাড়া প্রকল্প শেষ হওয়া সত্ত্বেও প্রকল্পে নিয়োজিত দেখিয়ে ওয়াসার ফান্ড থেকে ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন দেন এমডি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অডিট অধিদপ্তরের এঅ্যান্ডএও ও উপদল নেতা মো. তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অডিট প্রতিবেদন এমডির কাছে পাঠানো হয়।

একেএম ফজলুল্লাহ ২০১১ সালে এমডি হওয়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা পানি সরবরাহে চারটি বড় প্রকল্প নেয়। প্রকল্পগুলো হলো, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়), চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প ও ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প। চার প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। দুটিতে ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

এছাড়া বছর পাঁচেক আগে একেএম ফজলুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামবাসী দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপদ পানি পাবেন। ওই ঘোষণা আলোর মুখ দেখেনি। এখনও প্রতিদিন ঘাটতি রয়েছে ১২-১৫ কোটি লিটার পানির। এ নিয়ে গ্রাহকরাও ক্ষুব্ধ। সংকটের সমাধান না হলেও একেএম ফজলুল্লাহর আমলে ১৩ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে গত বছর একলাফে ৩৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ১৫ বছরে চুক্তিতে এবং আউটসোর্সিংয়ে যেসব লোক নিয়োগ হয়েছে সব নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। টাকা ছাড়া চাকরি হয়েছে, এরকম একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক পরিবারে একাধিক সদস্যও চাকরি পেয়েছেন। ওয়াসায় বর্তমানে আউটসোর্সিংয়ে ৩০০ জন লোক কর্মরত আছেন। এসব লোককে বাদ দিয়ে নতুন করে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি জানান শ্রমিকরা।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলমও বলেন, এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদক তদন্ত করছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তদন্ত শেষে দুদুক কথা বলবে।

দুদক কর্মকর্তা সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান বলেন, অনিয়ম অবশ্যই আছে। এই যেমন আমরা নিয়োগ সংক্রান্ত একটি তথ্য পেলাম ওনাদের একজন কর্মকর্তার কাছে। আরও কয়েকজন স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এটা আসলে রেকর্ডপত্র যাচাই করে বলতে পারবো। অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ নিয়মে ব্যবস্থা নেব।

উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া একেএম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনের এমপি হাছান মাহমুদের সুপারিশে প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল্লাহ। সেই থেকে আট মেয়াদে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের পাহাড় সমান অভিযোগ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ঈশান/খম/সুম

আরও পড়ুন

No more posts to show

You cannot copy content of this page