চট্টগ্রাম বন্দরে কমলা লেবুর ঘোষণায় আমদানি করা এক কোটি ২৫ লাখ শলাকা বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এতে অন্তত ৩০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এসব সিগারেটের মুল্য কত তা নির্ধারণ করতে পারেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বৃহ¯পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র ও উপকমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, কমলার নামে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে একটি চালান আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে চালানটির ৪০ ফুটের একটি কনটেইনার তল্লাশি করে অস্কার ও ল্যামার ব্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়েছে।
উপকমিশনার সাইদুল জানান, কমলালেবু আমদানিতে করের হার ৯০ শতাংশ। আর সিগারেটের ক্ষেত্রে এই হার ৩২০ শতাংশ থেকে ৬০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। মূলত রাজস্ব ফাঁকির উদ্দেশ্যে কমলালেবুর মিথ্যা ঘোষণা এবং জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এসব সিগারেট আমদানি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ কোটি ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
কাস্টমসের নথি অনুযায়ী, ঢাকাভিত্তিক আমদানিকারী প্রতিষ্ঠান আহসান করপোরেশন গত ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা একটি চালানে কমলালেবুর কথা ঘোষণা করেছিল। আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।
কাস্টমসের এআইআর (অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বন্দর থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দাখিল করা নথিপত্র ভুয়া বলে সন্দেহ হয়। পরে একটি দল সরেজমিনে পরীক্ষা করে সিগারেটের কন্টেইনারটি খুঁজে পায়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার কাজী রাইহানুজ জামান বলেন, আমরা অস্কার ও ল্যামার ব্যান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী, যদি সিগারেটের গুণমান সঠিক পাওয়া যায়, তবে চালানটি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কাছে বিক্রি করা হবে। অন্যথায়, আইন অনুযায়ী এটি ধ্বংস করা হবে।
You cannot copy content of this page